স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) হিমাদ্রী সরকার বলেন, জেলায় বেশকিছু শত্রু সম্পত্তি রয়েছে। সেগুলি নিয়ে সমীক্ষায় নেমেছে কাস্টডিয়ান অব এনিমি প্রপার্টি কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে তাদেরকে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহার একটি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শত্রু সম্পত্তি ছড়িয়ে রয়েছে। এবার সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিগুলি রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে শত্রু সম্পত্তি সম্পর্কে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য জানতে চায় রাজ্য সরকার। সেই সময় কোচবিহার জেলা প্রশাসন প্রায় ৭০০টি এমন সম্পত্তির হদিশ পায়। যার ৯০ শতাংশই মেখলিগঞ্জ মহকুমার হলদিবাড়িতে। কিছু সম্পত্তি দিনহাটা মহকুমায় রয়েছে।
প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, দেশভাগের পর এদেশ ছেড়ে অনেকে পাড়ি দেন পূর্ব পাকিস্তানে। যা বর্তমানে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। সেই বাসিন্দাদের সম্পত্তি এপারে থেকে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট জমি, বাড়ি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত।
এদিকে, জেলার বেশকিছু শত্রু সম্পত্তি দখল হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে কোনও জমিতে বাড়ি, পুকুর, আবার কোথাও বাগান করা হয়েছে। এবার সংশ্লিষ্ট জমিগুলি চিহ্নিতকরণ অভিযানে নেমেছে এনিমি প্রপার্টি কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে তাদের দুই সদস্যের একটি দল জেলায় এসেছে। সোমবার হলদিবাড়ির বক্সিগঞ্জে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে অভিযান চালান দলের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রামাণিক পাড়ায় সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ভূমিদপ্তরের পুরনো মানচিত্র সামনে রেখে তাঁরা জমিগুলির সীমানা জরিপ করছেন। এ বিষয়ে তাঁরা বিভিন্ন তথ্য খাতায় নথিভুক্ত করেন। আগামী পাঁচদিন এই সমীক্ষা চলবে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গের মালদহ জেলাতেও বেশকিছু শত্রু সম্পত্তি রয়েছে। তবে দার্জিলিং জেলায় এ ধরনের সম্পত্তি নেই বলে একমাস আগেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন।