স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস মঙ্গলবার রাতে কালিয়াচকের মোথাবাড়িতে হানা দেয়। অভিযুক্ত গাড়ির মালিককে চিহ্নিত করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিসের ম্যারাথন জেরার মুখে ছোট গাড়ির মালিক স্বীকার করে নেয়, তার গাড়িতেই গঙ্গারামপুর সাবস্টেশনের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ধৃতকে জেরা করে ডাকাতির বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে পুলিস। ডাকাতির ঘটনায় কালিয়াচকের দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। ৭ থেকে ১০জনের একটি দল ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে। ডাকাতির পরে দুষ্কৃতীরা বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার সরঞ্জাম কোথায় বিক্রি করেছে তার হদিশ চালাচ্ছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত চুরি যাওয়া সরঞ্জামের হদিশ পাওয়া যায়নি।
পুলিস সূত্রে খবর, সাবস্টেশনে সিসিক্যামেরা না থাকায় দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে কালঘাম ছোটে। ডাকাতির আনুমানিক সময় ও বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে একটি ছোট গাড়িকে চিহ্নিত করে পুলিস। সেই গাড়ির নম্বরপ্লেট থেকে মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়। ডাকাতির গতিবিধি দেখে পুলিস মনে করেছিল, এটি কালিয়াচকের দুষ্কৃতীদের কাজ হতে পারে। এবারে গাড়ির মালিক তথা চালককে হাতে নিয়েই ডাকাতির সলতে পেঁচাতে শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস। তদন্তের স্বার্থে বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার সমস্ত কর্মীদের জেরা শুরু করেছে। রাতে চলছে স্টেশনে পুলিসি নিরাপত্তা।
এই ব্যাপারে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ডাকাতির ঘটনায় আমরা ছোট গাড়ির মালিক তথা চালকে গ্রেপ্তার করেছি। গাড়িটিতে করেই সাব স্টেশনের সরঞ্জাম পাচার হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া দুষ্কৃতী সরাসরি যুক্ত ছিল। আমরা ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক সূত্র পেয়েছি। কোনও দুষ্কৃতী রেহাই পাবে না।
সাবস্টেশনের ইঞ্জিনিয়ার শুভঙ্কর সাহা বলেন, সাবস্টেশনের ডাকাতির ঘটনায় আমরা সকলে পুলিসকে সহযোগিতা করছি। আমাদের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে গঙ্গারামপুর থানা। শুধু একজন নিরাপত্তাকর্মী ছুটিতে রয়েছে। বাকিরা কাজ করছে। এমাসের মধ্যেই আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের টিম গঠন করে বিভাগীয় তদন্ত হবে।