স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
বাংলাদেশের উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে জালনোট ঢুকছে মালদহে। গঙ্গা পেরিয়ে জলপথে বিহারের মুঙ্গের থেকে আসছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। নদীপথে ঝাড়খণ্ড বিহার থেকে এসে খুন করে পগারপাড় হয়ে যাচ্ছে সুপারি কিলারও। নতুন বছরের শুরুতেই নিজের বাড়ির সামনে খুন হন তৃণমূলের দাপুটে নেতা ও দলের জেলা সহ সভাপতি বাবলা সরকার। তাঁকে রীতিমতো ধাওয়া করে প্রকাশ্য দিবালোকে মাথায় গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করে দুষ্কৃতীরা। খুনের নেপথ্যে প্রথমদিকে ব্যবসায়িক শত্রুতার তত্ত্ব উঠে আসে। কিন্তু তদন্ত কিছুটা এগোতেই দলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ওরফে নন্দুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তদন্তকারী আধিকারিকদের সূত্রে জানা যায়, বাবলা খুনের অন্যতম মোটিভ ছিল এলাকা দখল। ইংলিশবাজার শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার ছিলেন নন্দু। কিন্তু তিন বছর আগে ওই ওয়ার্ড বাবলার দখলে চলে যেতেই শত্রুতা বাড়ে তাঁদের মধ্যে। পুলিস সূত্রে জানা যায়, ইংলিশবাজার শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় মালদহ টাউন স্টেশন, ডিআরএম সহ পূর্ব রেলের সমস্ত অফিস রয়েছে। যেখানে রেলের ঠিকাদারিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দখলের লড়াই দীর্ঘদিনের। অতীতে ১৯৮০ সালে ওই এলাকাতেই দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের দাপুটে নেতা কুলদীপ মিশ্র। মঙ্গলবার ঠিক একইভাবে হামলা চালানো হয় কালিয়াচকের নওদা যদুপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখের ওপরে। এই ক্ষেত্রেও দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় প্রকাশ্য দিবালোকে। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কপাল জোরে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। কিন্তু ইট দিয়ে মাথা থেতলে হত্যা করা হয় তাঁর সঙ্গী ও তৃণমূল কর্মী আতাউর হককে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতা বকুল শেখ ও তাঁর ভাই এসারুদ্দিনের। হামলার অভিযোগ ওঠে আরেক তৃণমূল নেতার দলবলের বিরুদ্ধে। এই ক্ষেত্রেও প্রাণঘাতী হামলার মোটিভ সেই এলাকা দখল। আক্রান্তের ভাই স্বয়ং এই অভিযোগ তুলে সরব হন। পুজোর আগে সেপ্টেম্বর মাসে একই ঘটনা ঘটে মালদহের মানিকচকে। এলাকা দখল নিয়ে কংগ্রেস নেতা শেখ সইফুদ্দিনকে বাজারের মধ্যে বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতার ভাই ও ভাইপোদের বিরুদ্ধে। মালদহ পুলিসের এক কর্তা জানান, তিনটি ক্ষেত্রেই খুনের মোটিভ এলাকা দখল।