অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, জোড়া খুনের ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।
সোমবার ডাউয়াগুড়ির বৈশ্যপাড়ায় বাড়ির আলমারি থেকে কম্বল জড়ানো অবস্থায় বিজয়কুমার বৈশ্যর (৬৫) দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে এসে তাঁর ভাগ্নে গোপাল রায়ের (৫০) দেহও সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে পুলিস। তখন থেকেই নিরুদ্দেশ প্রণব। তবে বাড়ি থেকে মাছ বিক্রেতা একটি চিঠি পেয়েছিলেন। তাতে বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাওয়ার কথা লিখেছিলেন প্রণব। চিঠিটি লেখা হয়েছিল কোনও এক ‘দিদি’র উদ্দেশে।
যাঁর দিকে সন্দেহের তির, সেই প্রণব কেমন ছিলেন? প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন,তিনি বাড়িতে চট করে কাউকে ঢুকতে দিতেন না। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও তাঁর সদ্ভাব ছিল না। কলেজ পাশ করলেও লোকজনের সঙ্গে সেভাবে মিশতেন না। গ্রামবাসীদের দাবি, উগ্র স্বভাবের ওই যুবক এলাকায় বাইক নিয়ে ঘুরতেন। নিয়মিত মাদক সেবনও করতেন। সেজন্য বৈশ্য বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকতো। বাবাকে মারধর করা, প্রতিবেশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার ঘটনা নতুন কিছু ছিল না। কেউ তাই পারতপক্ষে ওঁর সঙ্গে বিবাদে জড়াতে চাইত না। রামদা নিয়ে লোকজনকে ভয় দেখানোর মতো কাণ্ডও অতীতে ঘটিয়েছেন এই যুবক।
প্রশ্ন উঠেছে, বিপত্নীক এই বৃদ্ধ এবং তাঁর ভাগনেকে কেন খুন করা হলো? বিজয়কুমার বৈশ্য বেশকিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর এক পায়ের পাতা কেটে ফেলতে হয়েছিল। খুনের পেছনে সম্পত্তি নিয়ে কোনও বিবাদ কি রয়েছে? উত্তরের খোঁজে পুলিস।
এদিকে, পাড়ার মধ্যে এভাবে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ও ভয়ের পরিবেশ রয়েছে। এদিন এলাকায় যান কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাঁরাই মৃতদের শ্রাদ্ধের আয়োজন করছেন।
পুর চেয়ারম্যান বলেন, হাড়হিম করা ঘটনা। গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছে। শুনেছি কয়েকজন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। ছেলেটির মা ও পিসির মৃত্যু নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। ডাউয়াগুড়ির প্রধান কুন্তলা রায় বলেন, এলাকার মানুষকে নিয়ে ওই বাড়ির বাইরে একটা যজ্ঞ ও কীর্তনের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে মানুষের ভয়ভীতি কাটে।