সংবাদদাতা, হবিবপুর: সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ডুবে যায় মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কের ‘ইউ’ আকৃতির দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। এছাড়া অন্ধকার রাস্তায় মাতালের উপদ্রবও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। যার ফলে সন্ধ্যার পর ওই রাস্তায় যাওয়ার আগে কয়েকবার ভাবতে হয় বলে দাবি। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা মেটানোর দাবিতে এবার হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্দুয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা আওয়াজ তুলেছেন।
স্থানীয়দের কথায়, মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা হয় কেন্দুয়া ও মধ্যম কেন্দুয়া এলাকায় রাজ্য সড়কে। রেলব্রিজে সিসি ক্যামেরার কাছে অল্প আলো থাকলেও বিপদের আশঙ্কা কাটে না।
অবিলম্বে সেখানে বড় লাইট লাগানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দা শুভঙ্কর দাসের কথায়, অন্ধকারে রাস্তা দিয়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয়। পথবাতি বা সোলার লাইটের প্রয়োজন রয়েছে।
এপ্রসঙ্গে কেন্দুয়ার পঞ্চায়েত সদস্য মনোজিত্ ভক্ত বলেন, পঞ্চায়েত লাইট লাগালেও ইট ছুড়ে বারবার ভেঙে ফেলছে মাতালরা। সম্প্রতি বিডিও অফিসে লাইটের বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। তার আগে দু’টি এলইডি লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যার পর ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় পড়ুয়ারা টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরে। অন্ধকার রাস্তায় মাতালদের দেখে তাঁরা ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। বছরখানেক আগে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে এই এলাকায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল। সেই ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুণ।বিডিও মনোজিত্ কাঞ্জিলাল বলেন, পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে। পথবাতি না থাকায় অন্ধকারে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।-নিজস্ব চিত্র