সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে চলে আসেন কাজিগ্রামের ওই বাসিন্দারা। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে বাপ্পা মণ্ডল, চন্দনা প্রামাণিক, গোকুল মণ্ডল, দুলালি চৌধুরী, মায়া রায় সহ অনেকেই অভিযোগ করেন, ২০১৭-১৮ সালের ১০০ দিনের কাজে তাঁদের প্রাপ্য ভাতা এখনও বকেয়া রয়ে গিয়েছে। জব কার্ড হোল্ডাররা পঞ্চায়েতে গিয়ে বারবার দরবার করেও তাঁদের মজুরি পাননি বলে এদিন অভিযোগ করেন।
একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, জব কার্ড হোল্ডারদের প্রাপ্য মজুরি অনেকক্ষেত্রে অন্য ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তিন বছর ধরে বঞ্চিত রয়েছেন আসল প্রাপকরা।
এছাড়াও আবাস যোজনা, বয়স্ক পেনশন সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের টাকাও তাঁরা পাননি বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এক বৃদ্ধা বলেন, সমব্যথী প্রকল্পের টাকা দিতেও গড়িমসি করছে পঞ্চায়েত। আমরা তারই প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, এদিন থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল থেকে আমরা কীভাবে বঞ্চিত হয়েছি, তা জানাতে আমরাই প্রশাসনের দুয়ারে এসে হাজির হয়েছি। জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরী। তিনি বলেন, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ কিছু নথিতে সমস্যা থাকার জন্যই কয়েকজনের ভাতার টাকা পেতে অসুবিধা হয়েছিল। তারজন্য পঞ্চায়েত দায়ী নয়। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। এই আন্দোলনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল এখন সবকিছুর পিছনেই বিজেপির ছায়া দেখতে পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ নিজেদের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হলেই তাঁদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দিয়ে দিচ্ছেন শাসকদলের নেতানেত্রীরা।
ইংলিশবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল কংগ্রেস কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, আমাদের দল দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। কাজিগ্রামে কী হয়েছে তা নিয়ে দল নিশ্চয়ই খোঁজখবর নেবে। ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে নেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপি অনেক জায়গায় ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। আমরাও বিজেপির পঞ্চায়েতগুলির মুখোশ খুলে দিতে আন্দোলনে নামব।