সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
বেঙ্গল সাফারির পশু চিকিৎসক নিক ডোলে বলেন, খুব বেশি ঠান্ডা পড়লে খাঁচাবন্দি বাঘের জন্য হিটারের ব্যবস্থা করে রাখা হচ্ছে। তবে এখনই দরকার পড়ছে না। আমরা প্রস্তুতি সেরে রাখছি। পার্কের ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ বলেন, শীলার তিন শাবক এবারই প্রথম শীতের মুখোমুখি হবে। তাই শাবকগুলি যাতে ঠান্ডায় কাবু না হয়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সিকিম আবহাওয়া অফিসের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার আবহাওয়া ছিল। পাহাড়ি অঞ্চলের উপরের দিকে বুধবার থেকে ক’দিন বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সমতলের আকাশ মেঘলা হবে। দিনের তাপমাত্রাও এতে নামবে।
এবার অসহ্য গরমে কাবু হয়ে পড়েছিল সাফারি পার্কের এশিয়াটিক ব্ল্যাক বিয়ার। ভালুক যুগল জেনিফা ও ধ্রুবর জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ আইসবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। ঠান্ডায় যাতে খাঁচায় থাকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কিংবা চিতাবাঘ কাবু না হয়, তারজন্যও আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের হাতে পাঁচটির মতো হিটার ঠিকঠাক আছে। প্রয়োজন হলে আরও হিটার কেনা হবে।
সাফারি পার্কে এই মুহূর্তে তিনটি স্ত্রী এবং চারটি পুরুষ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছে। এদের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার শীলা ও বিভান। শীলার আগের দুই সন্তান রিকা ও কিকা। স্ত্রী ওই দুই বাঘের বয়স আড়াই বছর। কিকা আবার সাদা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। গত আগস্ট মাসে শীলা ফের তিন সন্তানের জন্ম দেয়। তিনটি শাবকই পুরুষ। যদিও তাদের নামকরণ এখনও হয়নি। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগের শাবকদের নামকরণ করেছিলেন। এক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রীর নাম দেওয়ার আপেক্ষায় রয়েছে নর্থবেঙ্গল ওয়াইল্ড অ্যানিমেল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও পার্কে আছে চিতাবাঘ। মূলত খাঁচায় থাকা বাঘগুলির জন্যই পার্ক কর্তৃপক্ষ হিটারের ব্যবস্থা করে রাখছে।
এই পার্কে বাকি বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে শম্বর, বার্কিং ডিয়ার, হগ ডিয়ার, স্পটেড ডিয়ার সহ বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, ঘড়িয়াল, কুমির, গণ্ডার, ব্ল্যাক বিয়ার, হরেক প্রজাতির পাখি, বিড়াল। মোট ২৯৭ হেক্টর পার্কে তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য ৯১ হেক্টর, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও এশিয়াটিক ব্ল্যাক বিয়ারের জন্য ২০ হেক্টর করে কার সাফারির জায়গা চিহ্নিত রয়েছে। বাকি জায়গা হেঁটে কিংবা সাফারি পার্কের ব্যাটারিচালিত গাড়িতে ঘুরে দেখা যায়। পার্কের বনাঞ্চলে হাতি সাফারিরও ব্যবস্থা রয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে ১৭ মার্চ থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্ক বন্ধ ছিল। জু অথরিটির কোভিড প্রোটোকল মেনে ২ অক্টোবর থেকে পার্কের গেট ভিজিটরদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র