সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের পর শুক্রবার ব্যাঙ্ক খুলেছিল। ওইদিন এটিএমগুলিতে টাকা ভরতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে পরপর ছুটি থাকায় এটিএম কাউন্টারগুলি টাকাশূন্য হয়ে যায়। মাঝেমধ্যেই ইংলিশবাজারে এধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। টাকা না থাকায় সাধারণ মানুষের চরম অসুবিধা হয়। ব্যবসাও মার খায়। বিষয়টি ব্যাঙ্কগুলির দেখা উচিত।
লিড ব্যাঙ্কের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সুশান্ত হালদার বলেন, ধর্মঘটের পর এটিএমগুলিতে টাকা ভরা হয়েছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বেতন হয়। ছুটি থাকায় ব্যাঙ্কের পরিবর্তে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তোলেন। তাতেই টাকা শেষ হয়ে যায়। মাসের প্রথম দিনেও অনেকেই সকাল সকাল বেতনের টাকা তুলে নেন। ফলে প্রথমার্ধ্বে সমস্যা হয়েছিল। তবে বিকেল নাগাদ প্রায় সব এটিএমেই টাকা ভরা হয়।
ব্যাঙ্ক এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রায় আড়াইশোটি এটিএম কাউন্টার রয়েছে। তারমধ্যে ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহর এলাকায় শতাধিক এটিএম কাউন্টার চালু রয়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম মূলত জেলা ও ব্লক সদরে দেখা যায়। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি গ্রামীণ এলাকাতেও এটিএম কাউন্টার খুলে থাকে। সম্প্রতি মালদহ জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক ভ্রাম্যমান এটিএম পরিষেবা চালু করেছে। একটি ভ্যানে বসানো এটিএম থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ টাকা তুলতে পারবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিও ওই ধরনের পরিষেবা প্রদানে অগ্রসর হলে তাদের সুবিধা হবে বলে দাবি বাসিন্দাদের। তবে আপাতত এটিএমে ধারাবাহিকভাবে টাকার জোগান দেওয়ার বিষয়টিকে তারা অগ্রাধিকার দিলে ভালো হয় বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
গ্রাহকদের মধ্যে অনন্ত সরকার, রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা মাস সংসার চালাতে গিয়ে অনেক জায়গায় ধার হয়ে যায়। মাসের শেষে বেতনের টাকা থেকে ওই ধার মেটানো হয়। সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি মাসের শেষের দিকেই বেতনের টাকা কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দেয়। কিন্তু ব্যাঙ্কের গাফিলতির জন্য আমরা সময়মতো সেই টাকা তুলতে পারি না। পুজোর মরশুমেও এই সমস্যা হয়েছিল। একেই ব্যাঙ্কগুলিতে পরিষেবার মান তথৈবচ। তার উপর এটিএমেও সময়ে টাকা না ভরলে গ্রাহকরা কোথায় যাবেন?
একটি ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখার ম্যানেজার বলেন, আমরা গ্রাহকদের জন্য নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। ফলে পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ঠিক নয়। তবে গত সপ্তাহে ধর্মঘট এবং পরপর ছুটি থাকায় সমস্যা হয়েছিল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সবদিনই এটিএমে গ্রাহকরা চাহিদামতো টাকা পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।