মার্সেই: প্যারিস থেকে মার্সেই যাওয়ার পথে মাঝ আকাশেই নরেন্দ্র মোদি-ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ বৈঠক। তাও আবার খোদ ফারিস প্রেসিডেন্টের বিমানে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির মন্তব্য, ভারত-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই নয়া উচ্চতা স্পর্শ করল। ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলি নিয়ে দুই নেতার মধ্যে মতের আদানপ্রদান হয়েছে। মোদি-ম্যাক্রঁ বৈঠক নিয়ে বুধবার যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার পক্ষে সায় দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক স্তরে এআই (কৃত্রিম মেধা) ক্ষেত্রকে যাতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সুবিধার্থে ব্যবহার করা যায়, সেবিষয়ে শক্তপোক্ত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছেন দুই নেতা। ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার পক্ষেই ফের দাবি জানিয়েছেন ম্যাক্রঁ। মোদি প্যারিস থেকে মার্সেই আসার পর, সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যেও আলোচনা হয়। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, অসামরিক পরমাণু শক্তি ও মহাকাশ গবেষণা সহ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার জায়গাগুলি খতিয়ে দেখেছেন
তাঁরা। এদিন মার্সেই শহরের ঐতিহাসিক মাজারগুয়েজ যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্রেও যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বযুদ্ধে নিহত ভারতীয় জওয়ানদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান। ফ্রান্স সফর শেষ করে এদিন আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে শুল্ক ও ভারতীয়দের আতঙ্ক পরিবেশে ফেরত পাঠানোর বিষয় তোলা উচিত প্রধানমন্ত্রী মোদির। অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের গুরুতর প্রভাব পড়বে ভারতীয় উৎপাদন ক্ষেত্রে। দু’দেশের মধ্যে আমাদের আরও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, যাতে দুই দেশই লাভবান হয়।’