মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
এই নিয়ম কার্যকর হলে, ভারতীয় অভিবাসীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০২৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, এখন মার্কিন মুলুকে ৫৪ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত বসবাস করেন। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশেরই জন্ম আমেরিকায়। নতুন নিয়মে যে সব ভারতীয় অস্থায়ী ভিসায় আমেরিকায় কাজ করেন বা গ্রিন কার্ড পাওয়ার অপেক্ষা করছেন, তাঁদের সন্তানরা আর মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ঘোষণার পরেই বেআইনিভাবে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে দিল্লি। এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার এমন ভারতীয়ের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুই দেশের প্রশাসন একযোগে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের তালিকা তৈরি করেছে। ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখার জন্যই দিল্লির এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরে সমালোচনায় মুখর হয়েছে মার্কিনরাই। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাবা ফ্রেড ট্রাম্প নিজেই ছিলেন জার্মান অভিবাসীর সন্তান। মা মেরি ট্রাম্পও স্কটিশ বংশোদ্ভূত। ১৯৩০ সালে তিনি আমেরিকায় আসেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও জন্মসূত্রে মার্কিন হওয়ার সুবিধা পেয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা ছিলেন চেক-আমেরিকান। বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়াও আদতে স্লোভেনিয়ান-আমেরিকান বংশোদ্ভূত। তাঁদের সন্তানও পুরনো আইনেই মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বদলাতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
তবে ট্রাম্প চাইলেই নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইন বদলে ফেলতে পারবেন না। কারণ, এর জন্য সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে মার্কিন কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতি প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয় সংখ্যা এখন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের হাতে নেই। পাশাপাশি বিভিন্ন স্টেটের আইনসভার সদস্যদেরও তিন-চতুর্থাংশের সম্মতি দরকার। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের এগজিকিউটিভ অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে। এদিকে, শপথ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।