সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মোদি নীরব।
ভোটে বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার পর নতুন এনডিএ সরকারের প্রধান হিসেবে মোদি এবার শক্তি প্রদর্শন করে মুখরক্ষা করতে চলেছেন। জানা যাচ্ছে, এনডিএ সরকার শীঘ্রই তিব্বতের ৩০টি স্থানের ভারতীয় নামকরণ ঘোষণা করবে। ভারত সরকারের মানচিত্রে সেই নামই দেখানো হবে। অর্থাৎ চীন এতদিন যা করে এসেছে তারই পাল্টা। অরুণাচল প্রদেশের বমডিলা এবং তাওয়াং জেলার অন্তর্গত একের পর স্থানের নামকরণ চীন সরকার মান্দারিন ভাষায় করে এসেছে এতদিন ধরে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রক প্রতিবাদ করেছে। অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ সেকথাই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে পুনরায় দাবি করা হয়েছে যে, অরুণাচল প্রদেশ তাদের দেশের অংশ।
নতুন এনডিএ সরকার জোট নির্ভর এবং আগের তুলনায় মোদি রাজনৈতিকভাবে দুর্বল। তাই প্রশাসনিক শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া তাগিদ দেখাচ্ছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যেই তিব্বতের ৩০টি স্থানের নাম পালটে দেওয়া হবে। দাবি করা হবে ওই অঞ্চলগুলি আদতে ঐতিহাসিকভাবে ভারতের অংশ। তাই ভারতীয় নাম হবে তাদের। সীমান্ত নিয়ে ভারত যে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, এই বার্তা দিয়ে শুরু থেকেই দেশবাসীকে শক্তির নমুনা দেখানোর প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় কার্যভার নেওয়ার পর মঙ্গলবার এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস করা হবে না। পাশাপাশি পাকিস্তানকেও বুঝতে হবে যে, ভালো প্রতিবেশী হওয়ার শর্ত মেনে চলাই সব রাষ্ট্রের আবশ্যক কূটনীতি। সন্ত্রাস দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিকল্পে সহায়ক নয়। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তার জবাবও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।