সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
‘দ্য ওয়াইজ লিটল হেন’। ৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের এই কার্টুনের হাত ধরেই প্রথমবার পর্দায় আসে ডোনাল্ড ডাক। সালটা ১৯৩৪, ৯ জুন। জনপ্রিয়তার সেই শুরু। আত্মপ্রকাশের পাঁচ বছরের মাথায় ‘দ্য অটোগ্রাফ হাউন্ড’-এ নতুন অবতারে ধরা দিল ডোনাল্ড। ১৯৪০-এর দশকে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহে এই কার্টুন চরিত্র উঠে এল প্রচারের মঞ্চে। একাধিকবার হিটলারকে ‘বিকৃত স্বৈরাচারী’ হিসেবে তুলে ধরেছিল ডোনাল্ড ডাক। এরপর তার জীবনে এল প্রথম অস্কার পুরস্কার জয়ের স্বাদ। ‘ডের ফুয়েরের ফেস’-এর সৌজন্যে। যদিও জাপানের মানুষকে ব্যঙ্গের জন্য পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচিত হয় কার্টুনটি। তবে ডোনাল্ড ডাকের গল্পগুলি এতটা জনপ্রিয় কেন? উত্তর খুঁজেছিলেন মিডিয়া গবেষক ক্রিস রোজেক। তিনি বলছেন, ‘ডোনাল্ডের গল্পগুলির সঙ্গে দর্শকরা মিল খুঁজে পান।’ উদাহরণ দিয়েছিলেন তিনি। দেখিয়েছিলেন, কার্টুনগুলি যেভাবে নারী চরিত্রের ব্যবহার হয়েছে, তা সমাজের রূপক। ডোনাল্ডের গার্লফ্রেন্ড ডেইজি ডাককে কখনওই চাকরিরত বা কেরিয়ারের জন্য চিন্তা করতে দেখা যায়নি। তা থেকেই উঠে আসে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ছবি। আবার পরের দিকে মহিলা চরিত্রের মাধ্যমে আধুনিক সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই কার্টুনেই। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ডেলা ডাকের কথা। দক্ষ পাইলট। অ্যাকশন দৃশ্যেও তার সমান উপস্থিতি। গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে একসময় আরও কয়েকটি চরিত্রের আমদানি হয়। ডাকবার্গ নামক কাল্পনিক এক শহরে বাস করত সমস্ত হাঁসেরা। সেখানেই এল কৃপণ আঙ্কল স্ক্রুজ। আসে গ্ল্যাডস্টোন গ্যান্ডার, গাইরো গিয়ারলুজ, ম্যাজিকা ডি স্পেলের মতো চরিত্ররা। ডোনাল্ডের বাড়িতে আগমন হয় তার তিন ভাইপোর। হুই, ডুই, লুই। ডোনাল্ডের কুকীর্তিগুলি ঘটানোর দায়ভার পড়ে
এদের উপর।
সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা ডোনাল্ড ডাকের বৈশিষ্ট্য। তাই চির পরিবর্তনশীল জগতে সমান প্রাসঙ্গিক এই কার্টুন। আজও ডোনাল্ড ডাকের ম্যাজিকে আচ্ছন্ন প্রত্যেকে। ৯০ বছর পরেও।