সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
রিপোর্টে লন্ডন সহ ব্রিটেনের কোন অঞ্চল কত ভারতীয় লগ্নি পেয়েছে এবং সেদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে এর প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের শীর্ষ দশটি রাজ্যের মধ্যে ব্রিটেনে ৩.১৪ শতাংশ এফডিআই এসেছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এই রাজ্যের উল্লেখযোগ্য যে কোম্পানিগুলি এদেশে লগ্নি করেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে আরপিএসজি, আইটিসি, ইনফোটেক, বার্জার পেন্টস ও ইলেক্ট্রো স্টিল কাস্টিং। মহারাষ্ট্রের কোম্পানিগুলি থেকে ২০২৩ সালে ব্রিটেনে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ লগ্নি এসেছে। এরপরেই রয়েছে কর্নাটক (১২ শতাংশ) ও দিল্লি (৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও গুজরাত (৭.১ শতাংশ), তামিলনাড়ু (৬.৭ শতাংশ), তেলেঙ্গানা (৬.৫ শতাংশ), উত্তরপ্রদেশ (৫.৯ শতাংশ), হরিয়ানা (৪.৫ শতাংশ) ও কেরল (৩.০৫) রয়েছে প্রথম দশে। ব্রিটেনে ভারতীয় এফডিআইয়ের ৭৮ শতাংশই এই দশ রাজ্য থেকে এসেছে। সফ্টওয়ার ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি কোম্পানি লগ্নি করেছে।
ব্রিটেনের ব্যবসা ও বাণিজ্য বিভাগের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের শেষে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে পণ্য ও পরিষেবার মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৯ বিলিয়ন পাউন্ড। আগের অর্থবর্ষের এই পর্বের তুলনায় তা ৪.৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩-এ ভারত ছিল ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম লগ্নিকারী। এই লগ্নির হাত ধরে গড়ে উঠেছে ১১৮ নয়া প্রকল্প। তৈরি হয়েছে ৮ হাজার ৩৮৪ কর্মসংস্থান।
রিপোর্ট বলছে, ওয়েস্ট মিডল্যান্ড, লন্ডন ও নর্থওয়েস্টের মতো অঞ্চলগুলি সবচেয়ে বেশি ভারতীয় লগ্নি হয়েছে। আর এই তিন অঞ্চলে অটোমোটিভ, সফ্টটওয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি ও শক্তিক্ষেত্রগুলিই সর্বাধিক ভারতীয় এফডিআই টেনেছে।
হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত ও ব্রিটেন উভয় দেশই আন্তর্জাতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। আর দু’দেশের সেতুবন্ধনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে ব্যবসায়িক সহযোগিতা। সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বর্তমানে ব্রিটেনে কার্যকর ভারতীয় কোম্পানিগুলি নিজেদের ব্রিটিশ অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করে তুলেছে। সমস্ত প্রথমসারির শিল্পক্ষেত্রগুলিতে ছাপ রাখছে এই কোম্পানিগুলি।