উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মায়ানমারের নাগরিক না হওয়ায় আজও তাঁদের অর্থ ও অন্ন সংস্থানের জন্য বৈধ নাগরিকদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়। বাধ্য হয়ে অনেক গোর্খাকেই দেশ ছেড়ে অন্য জায়গায় ঘাঁটি গাড়তে হয়েছে। অনেকেই চলে এসেছেন ব্রিটেনে। তবে মায়ানমারকে তাঁরা ভোলেননি। ভুলে যাননি মায়ানমারের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের পূর্বপুরুষদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। শুধু ক্ষোভ বা অভিমান একটাই। মায়ানমার হয়তো তাঁদের অস্তিত্বকে ভুলে গিয়েছে। তাই আজও মায়ানমারের কাছে তাঁরা অনাহুত। সম্প্রতি মায়ানমারে হিংসা শুরু হওয়ায় অনেকেই ব্রিটেনে চলে এসেছেন। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন নুম রাজ। ২০০৯ সালে তিনি মায়ানমার থেকে লন্ডনে চলে আসেন। ভর্তি হন ওয়েস্ট লন্ডন বিজনেস স্কুলে। নুম ‘বর্তমান’কে জানান, ‘মায়ানমারে পড়াশোনা করে আমি উচ্চশিক্ষা অর্জন করি। হয়তো সেখানে আমি চাকরি জোগাড় করতে পারতাম। কিন্তু বাবা আমাকে লন্ডনে চলে আসতে বলেন।২০১৩ তে আমার নিজের ফুড ট্রাকের ব্যবসা শুরু করি।’ অবশ্য পরে তিনি ২০১৫ সালে মায়ানমারে ফিরেছিলেন। কিন্তু তখন দেশের অবস্থা যা ছিল, তা নুমকে অনেকটাই হতাশ করে। দেশে তখন সেনা অভ্যুত্থানে পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। ক’দিনের মধ্যেই লন্ডনে ফিরে আসেন নুম।
‘বর্তমান’কে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং হিংসা বাড়ছে। এখন মায়ানমার সাধারণ মানুষের থাকার জন্য নিরাপদ নয়। আমার ঠাকুর্দা এই দেশের জন্যই প্রাণ দিয়েছিলেন। অথচ বর্তমানে আমাদের মতো গোর্খাদের উপরই অত্যাচার সবচেয়ে বেশি। রোজ সে দেশে গোর্খাদের মরতে হচ্ছে। এই জন্যই হয়তো বাবা আমাকে লন্ডনে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।’ নুম তাঁর পরিবার নিয়ে লন্ডনে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর মা, ভাই বোন ও আত্মীয়রা এখন অস্থির মায়ানমারেই জীবনের সঙ্গে যুঝছেন। তাদের সঙ্গে দুসপ্তাহ ধরে যোগাযোগ করতে পারছে না। সুকির গ্রেপ্তারি নিয়ে হিংসা বাড়ছে। সেই নিয়ে কার্যত রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে নুমের। ইশ্বরের কাছে তাঁর একটাই প্রার্থনা। শান্ত হোক মায়ানমার।