মুম্বই: বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই চলছে মনোমালিন্য। তৈরি হয়েছে অবিশ্বাসের পরিবেশও। মহারাষ্ট্রের বিরোধী শিবিরে সত্যিই ‘অল ইজ নট ওয়েল’। মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)-র অন্দরের কাজিয়া আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে শিবসেনা নেতা তথা মহাযুতি সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধেকে সংবর্ধনা দেন বিরোধী শিবিরের প্রবীণ নেতা শারদ পাওয়ার। সিন্ধের প্রশংসাও শোনা যায় এনসিপি (এসপি) সুপ্রিমোর গলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শরিক দলের উপর চটেছে উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনা। পাওয়ারের কাণ্ডে রীতিমতো অগ্নিশর্মা তারা। তাদের বক্তব্য, অমিত শাহের সঙ্গে হাত মিলিয়েই শিবসেনা ভেঙেছিলেন সিন্ধে। গদিচ্যুত হয়েছিল উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন এমভিএ সরকার। এখন সেই সিন্ধেকেই সমাদর করছেন শারদ! সমালোচনা এড়াতে পাওয়ারের দলের যুক্তি, সব কিছুতে রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয়। বিরোধী শিবিরের এই কাজিয়াকে আরও উস্কে দিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, উদ্ধবের থেকে একনাথ সিন্ধে যে অনেক যোগ্য, এতদিনে তা স্বীকার করে নিলেন পাওয়ার সাহেব!
৯৮তম অখিল ভারতীয় মারাঠি সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে মহাদজি সিন্ধে রাষ্ট্রগৌরব পুরস্কার দেওয়া হয় সিন্ধেকে। মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সেই সম্মান তুলে দেন রিসেপশন কমিটির প্রধান শারদ পাওয়ার। আর তা নিয়েই মারাঠা স্ট্রংম্যানকে একহাত নিয়েছে শিবসেনা (ইউবিটি)। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, রাজনীতিতে কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত। শারদের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ঠিক হয়নি। ২০২২ সালে এই সিন্ধেই শাহের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে মহা বিকাশ আঘাড়ির সরকার ফেলে দিয়েছিলেন। সিন্ধেকে সংবর্ধনা দেওয়ার অর্থ অমিত শাহকে সংবর্ধনা দেওয়া।