সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
মোদি সরকারের কাছে আম জনতার প্রত্যাশা ছিল তিনটি। আয়করে ছাড়, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি এবং কর্মসংস্থানের দিশা। প্রথমটি পাওয়া গেলেও মূল্যবৃদ্ধি-কর্মসংস্থান নিয়ে বাজেটে কোনও রূপরেখা দেখা গেল না। এতদিন ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হতো না। এদিন ৭ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ের ব্র্যাকেটে থাকা মধ্যবিত্ত হিসেব কষতে বসেছে, বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে কী করা যায়? কেউ ভেবেছেন সঞ্চয় বা বিনিয়োগের কথা। কেউ আবার ভাবছেন, ইএমআইয়ের টাকাটা উঠে এল। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান? দিশা নেই। সম্ভবত সেই কারণেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী আয়করে ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তের হাতে নগদের জোগান বাড়ানোর ব্যবস্থা করলেন। কারণ উদ্বৃত্ত টাকা হাতে থাকলে মধ্যবিত্ত তা ব্যয় করবে বাড়ি-গাড়ি-ভোগ্যপণ্যে। তখনই বাজারে সেই টাকা আবর্তিত হবে। থমকে যাওয়া অর্থনীতির চাকা ঘুরবে।
কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের রকেটগতির রাশ যদি টানা না যায়, তাহলে এই অতিরিক্ত অর্থ একসময় সিন্ধুতে বিন্দু হয়ে যাবে। সেই রাশ টানার দীর্ঘ অথবা স্বল্পমেয়াদি কোনও পরিকল্পনা লক্ষ্য করা গেল না বাজেটে। কর্মসংস্থানের নীতি কী? লোন নাও, ব্যবসা করো, রোজগার বাড়াও। তাই ক্ষুদ্রশিল্পের জন্য ক্রেডিট কার্ড, মহিলা বা অনগ্রসররা নতুন ব্যবসা শুরু করলে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন, সমবায়ের মাধ্যমে ঋণ, এমএসএমই সেক্টরে ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা লোন। কিন্তু উৎপাদন সেক্টরের বৃদ্ধি? কোনও রোডম্যাপ নেই। বাজারের দাম কীভাবে কমবে? তারও উত্তর নেই।
আয়করে বিপুল ছাড় দেওয়ার ফলে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি লোকসান হবে সরকারের। সেই টাকা আসবে কীভাবে? সরকারের আশা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ডিভিডেন্ড বাড়িয়ে ভরপাই করে দেবে। এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবে একটি তথ্য আছে—এলপিজি ভর্তুকি ২ হাজার কোটি টাকা কমেছে। তাহলে তেল সংস্থাগুলি এই লোকসান সামলাবে কীভাবে? পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি কি এবার সময়ের অপেক্ষা?