সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভর হওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হল এক হাজার কোটি টাকা। বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন, আগামী ছ’ বছরে ডালে আত্মনির্ভর হতে শুরু করা হবে ‘মিশন ফর আত্মনির্ভরতা ইন পালসেস।’ অড়হর, বিউলি এবং মসুর চাষ বাোড়ানো হবে এই প্রকল্পে। আগামী চার বছর নাফেড এবং এনসিসিএফের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা কৃষকের থেকে এই তিনরকম ডাল কিনবে। তার জন্য কৃষকদের চুক্তি করতে হবে।
পাশাপাশি বিহারে মাখানা চাষ বাড়াতে তৈরি হবে মাখানা বোর্ড। বরাদ্দ করা হল ১০০ কোটি টাকা। কীভাবে মাখানা চাষ করতে হয়, সরকার তার প্রশিক্ষণও দেবে। কার্বহাইড্রেড যুক্ত এই ফসল পুষ্টি বাড়াতেও কাজে দেবে। কৃষিতে সার্বিক উৎপাদন বাড়াতে ন্যাশনাল মিশন ফর হাই ইল্ডিং সিডস’ নামে একটি প্রকল্পের কথাও এদিন ঘোষণা করা হয়েছে।
তুলোর চাষ বাড়াতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য আনা হচ্ছে ‘মিশন ফর কটন প্রোডাক্টিভিটি।’ তুলো উৎপাদন বাড়লে বস্ত্রশিল্পেরও প্রভূত উপকার হবে বলেই উল্লেখ করেছেন নির্মলা সীতারামন। অসমে তৈরি হবে ইউরিয়া সার কারখানা। লক্ষ্য ১২.৭ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন। আত্মনির্ভরতারই লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। সামুদ্রিক মাছ চাষ বাড়াতে আন্দামান নিকোবর এবং লাক্ষাদ্বীপে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। কারণ, সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করে সরকার আয় করে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এটি বাড়ানোই এখন লক্ষ্য।
কৃষকরা যাতে আরও বেশি ঋণ পায়, তারও বন্দোবস্ত করা হল বাজেটে। কিষান ক্রেডিট কার্ডে স্বল্প সময়ের ঋণ ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হল। যদিও এত কিছু ঘোষণার পরেও কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ চলতি অর্থবর্ষের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সংশোধিত বরাদ্দ হয়েছিল ১ লক্ষ ৩১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। কিন্তু শনিবার ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য কৃষিতে বরাদ্দ হল ১ লক্ষ ২৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ কমে গেল ৩ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। এরপরেও কী করে হবে নব ঘোষিত প্রকল্প রূপায়ণ? থেকে যাচ্ছে প্রশ্নই।