সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
জম্মু ও কাশ্মীরে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে উঠেছিল ইন্টারনেট। মাঝেমধ্যেই পরিষেবা বন্ধের জন্য পদে পদে সমস্যায় পড়তে হত। ২০১৯ সালে উপত্যকা থেকে বিশেষ রাজ্যের তকমা প্রত্যাহারের পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল টেলিফোন-মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে ধীরে সেগুলির উপর থেকে বিধিনিষ্ধে উঠে যায়। পাশাপাশি, বিগত কয়েকবছরে প্রযুক্তিগত উন্নতিও হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট পরিষেবা আরও বেশি ধারাবাহিক ও শক্তিশালী হয়েছে। বেড়েছে গতি। তার জেরেই উপত্যকাতেই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গড়ে লাভের মুখ দেখছেন আসিমের মতো অনেকেই। তাঁর কথায়, এখন আমার সংস্থার আট জন কাজ করেন। আমরা বিভিন্ন সংস্থাকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করি। প্রত্যাশার থেকে অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে আমাদের সংস্থার। বিগত দু’বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবার জন্যই তা সম্ভব হয়েছে।
তবে শুধু আসিমই নন, তাঁর মতো অনেক প্রযুক্তিবিদ জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন সংস্থা খুলে লাভের মুখ দেখছেন। তাঁরাও ইন্টারনেট পরিষেবা ও সরকারি সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন। তথ্য বলছে, গতবছর মাত্র দু’বার ইন্টারনেট শাটডাউন হয়েছে। ২০২২ ও ২৩ সালে সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ৪৩ ও ১৪। তার আগের দু’বছরে ৭৯ (২০২১ সাল) ও ১১৬ (২০২০ সাল)-বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় একের পর এক স্টার্টআপ চালু হয়েছে। ২০২৪ সালে জুলাই পর্যন্ত সংখ্যাটা ৮৫৫। বহু সংস্থা নথিভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদনও জানিয়েছে। বর্তমান স্টার্টআপকে সাহায্য করতে একঝাঁক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকারও। তাতে গোটা প্রক্রিয়া অক্সিজেন পেয়েছে। কাশ্মীর কুরিয়্যার অ্যান্ড কার্গো অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাহুর আহমেদ কারি জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছরে ইন্টারনেট ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। তার জেরে বেশ কিছু লজিস্টিক সংস্থার ফের কাজকর্ম শুরু করেছে। নতুন একাধিক সংস্থাও প্রতিযোগিতায় নেমেছে।