সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
বাজেট পড়ছেন নির্মলা। বাহবায় টেবিল চাপড়াচ্ছেন মোদি সহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা। অন্যদিকে, বিরোধীরা নেমে এলেন ওয়েলে। স্লোগান উঠল, নেহি চলেগি, নেহি চলেগি। মোদি সরকার ডাউন ডাউন। ১১-০৪ মিনিটে ‘ওয়াক আউট।’ দিল্লি ভোটে অখিলেশ-কংগ্রেস ‘শত্রু’ হলেও কুম্ভ ইস্যুতে শামিল হলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা। তৃণমূল অবশ্য অংশ নেয়নি। চার মিনিট সভার বাইরে থেকে ফের লোকসভার কক্ষে ফিরে এলেন বিরোধীরা। প্রয়াগরাজে দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ‘প্রতীকী ওয়াক আউট’ বলেই পরে জানালেন অখিলেশ। সভায় ফিরে আসার পর থেকে আর কোনও হল্লা হয়নি। বিরোধী বেঞ্চ ছিল শান্ত।
তারই মধ্যে স্রেফ নির্মলা সীতারামন যখন ঘোষণার উপঢৌকনে ছ’বার বিহার শব্দ উচ্চারণ করলেন, তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কংগ্রেসের গৌরব গগৈয়ের কটাক্ষ, ‘সবই বিহার!’ পরে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে একইভাবে সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে সংসদে আটবার বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারামন। শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন ১০-৫০, সভায় এলেন নির্মলা। পিতলের অশোকস্তম্ভ আঁটা লাল ফাইল ব্যাগ থেকে বের করলেন আইপ্যাড। রাখলেন ট্রেজারি বেঞ্চে দ্বিতীয় ব্লকের প্রথম সারিতে তাঁর আসনের সামনে রাখা হেলানো ডেক্সে। তাঁকে দেখেই এগিয়ে এলেন অপরাজিতা ষড়ঙ্গি, শোভা করনদালাজে, মালবিকা দেবী, কীর্তি দেববর্মনের মতো এক ঝাঁক বিজেপির মহিলা সাংসদ। সৌহার্দ বিনিময় চলছে, সভায় প্রবেশ মোদির। ঘড়ির কাঁটায় ১০-৫৮। গেরুয়া শিবির থেকে উঠল স্লোগান, ভারত মাতা কি জয়। ১১ টা বাজতেই স্পিকারের আসনে স্পিকার এসে বসতেই বিরোধীদের হল্লা শুরু। সেই পর্ব মিটে ৭৪ মিনিটের বাজেট বক্তৃতার শেষ পর্বে নির্মলা যখন মধ্যবিত্তের জন্য কর ছাড়ের ঘোষণা করছেন, ট্রেজারি বেঞ্চের টেবিল চাপড়ে তখন পায়রা ওড়া তালির শব্দ। সঙ্গে উল্লসিত স্লোগান, মোদি মোদি......!