মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
২০২৪ সালের বাজেটে ইন্টার্নশিপ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ইন্টার্নশিপ চাকরি নয়। বছরের পর বছর ধরে চলেও না। খুব বেশি হলে এক থেকে দুই বছর। তবুও বেকারত্ব রুখতে এটাই ছিল মোদি সরকারের চমক। ঘোষণা করা হয়েছিল, দেশের সেরা ৫০০ কর্পোরেট সংস্থায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন যুবক-যুবতীরা। এজন্য কর্মপ্রার্থীদের সরকারের চালু করা পোর্টালে আবেদন করতে হবে। সেইসব আবেদন থেকে বাছাই করে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থায় প্রার্থীদের নাম পাঠাবে সরকার। চাহিদা অনুযায়ী সেখান থেকে নিয়োগ করবে শিল্প সংস্থাগুলি। প্রশিক্ষণকালে ইন্টার্নদের স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে ৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে এককালীন ৪ হাজার ৫০০ টাকা দেবে কেন্দ্র। পরবর্তী ভাতা নিজেদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসন্সিবিলিটি (সিএসআর) খাত থেকে দেবে সংস্থাগুলি। ইন্টার্নশিপ শেষে চাইলে যোগ্যদের নিয়োগ করতে পারে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। নাহলে মিলবে সার্টিফিকেট। এই ছিল মডেল। কিন্তু ঘোষণার এক বছর পর দেখা যাচ্ছে দেশের কর্পোরেট মহল কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে বিশেষ উৎসাহিত নয়। যে কারণে ৫০০ কর্পোরেটের পাশাপাশি এবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। মোদি সরকারের যুক্তি, কর্পোরেট সংস্থাগুলির ডাউনস্ট্রিম ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থা দেশজুড়ে ছড়িয়ে। সেগুলিও প্রচুর কর্মী নিয়োগ করে। ফলে সেখানে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি।
যদিও মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ঘিরেও উঠছে নানা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নোটবাতিলের পর থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্র ধুঁকছে। তারা কর্মী নিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। সেখানে কি তারা অতিরিক্ত ইন্টার্ন রাখবে? তাছাড়া কর্মপ্রার্থীদের স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল বড় বড় কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের। সেখানে তাদের স্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে।