সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
এদিন ‘টেকার্স, নট গিভার্স’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করে এই মানবাধিকার সংগঠন। ব্রিটিশ উপনিবেশ সংক্রান্ত একাধিক গবেষণাপত্র ঘেঁটে তা তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্টে অক্সফ্যাম জানিয়েছে, ‘বৈষম্য ও লুটের এই ঐতিহ্য ঔপনিবেশিক আমল থেকেই চালু হয়েছে। আধুনিক জগতের অন্যতম ভিত্তি হল এই বিভাজন আর বর্ণবৈষম্য।’ আজকের বহুজাতিক সংস্থাগুলি এই নীতিতে বিশ্বাসী। অক্সফ্যামের দাবি, ‘আজকের দিনে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। এইসব সংস্থা গরিব শ্রমিকদের শোষণ করছে। বিশেষ করে মহিলা শ্রমিকদের। পুরোটাই করা হচ্ছে ধনী সমাজের প্রতিনিধিদের সুবিধার্থে। বেতনের ক্ষেত্রে বৈষম্য এর অন্যতম উদাহরণ।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭৫০ সালে বিশ্বের মোট শিল্প উৎপাদনের ২৫ শতাংশ আসত ভারত থেকে। তবে মাত্র দেড়শো বছরের মধ্যে তা কমে ২ শতাংশ হয়ে যায়। এর জন্য দায়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং ব্রিটিশ সরকারের কড়া বাণিজ্য নীতি। সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে এশীয়ার বস্ত্রশিল্প। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জেরে উপনিবেশগুলিতে বাণিজ্য ধাক্কা খায়। অর্থাৎ, ভারতের সম্পদ ও টাকা নিয়ে নিজেদের পকেট ভরিয়েছে ধনী ব্রিটিশরা। আজও সেই টাকা লুটপুটে খাচ্ছেন তাঁদের বংশধররা।
জানা গিয়েছে, ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনীতে ছিলেন ২ লক্ষ ৬০ হাজার সেনা। যা ব্রিটিশ পিসটাইম আর্মির দ্বিগুণ। এই বিশাল বাহিনী কী কাজে লাগতো? রিপোর্টে দাবি, এই বাহিনীকে একাধিক অবৈধ কাজে নিযুক্ত করত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। যেমন জমি দখল। এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, ১৮৭৫ সালে সবথেকে বেশি আয় করতেন সেনা ও প্রশাসনের ইউরোপীয় আধিকারিকরা। তবে ১৯৪০ সালের মধ্যে তাঁদের জায়গা নিয়ে নেন ব্যবসায়ী, উদ্যোগপতিরা। অক্সফ্যাম জানিয়েছে, ‘ঔপনিবেশিকতার জেরেই আজকের দিনে এসব দেশে বৈষম্য বিরাজ করছে।’