স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
গত ৪৭ বছর ধরে কংগ্রেসের সদর দপ্তরের ঠিকানা ছিল দিল্লির ২৪, আকবর রোড। অবশেষে তা বদলে গেল এদিন। নতুন ঠিকানা—৯-এ কোটলা রোড। এদিন সেই নয়া সদর দপ্তরের উদ্বোধন করেন সোনিয়া গান্ধী। রিমোটের সাহায্যে চরকা চিহ্ন সহ তেরঙা দলীয় পতাকা উত্তোলন করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে দলীয় নেতাদের সামনে রাহুল বলেন, ‘কোন সাহসে দু’দিন অন্তর অন্তর দেশ সম্পর্কে নিজের ভাবনার কথা বলতে থাকেন মোহন ভাগবত? দেশের স্বাধীনতা নাকি এসেছে রামমন্দির উদ্বোধনের দিন! তার মানে সংগ্রামীদের রক্তঝরা সাতচল্লিশ সালের স্বাধীনতা কোনও স্বাধীনতা নয়, সংবিধান সত্য নয়? এ তো রাষ্ট্রদ্রোহ। অন্য কোনও দেশ হলে মোহন ভাগবতকে গ্রেপ্তার করা হতো। সাজা দেওয়া হতো। দেশকে অপমান করেছেন মোহন ভাগবত। তাঁর এইসব অযৌক্তিক বক্তব্য বন্ধ করতেই হবে। এবং সেটা আমরা কংগ্রেসিরাই করব।’
নতুন ভবনের প্রেক্ষাগৃহে সামনে তখন বসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, পি চিদম্বরম, শচীন পাইলট, রেবন্ত রেড্ডি, অধীররঞ্জন চৌধুরী, ভূপেশ বাঘেলরা। তাঁদের উদ্দেশে রাহুল আরও বলেন, ‘প্রতিদিন আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। ওরা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই প্রায় দখল নিয়ে নিয়েছে। তাই আমাদের লড়াই স্রেফ বিজেপি-আরএসএস নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও।’ দর্শকাসনে তখন হাততালির ঝড়।
কিন্তু শেষ লাইনে রাহুলের বেফাঁস মন্তব্যে বাইরে বাড়ল বিতর্ক। কংগ্রেস নেতার সমালোচনায় সরব হল গেরুয়া শিবির। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা বললেন, ‘কংগ্রেসের আসল চরিত্র বেরিয়ে পড়েছে। ওরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে,, যা বিদেশি কিছু শক্তিও করে থাকে।’ যদিও কংগ্রেসিদের দাবি, রাহুল আসলে বলতে চেয়েছেন যে লড়াই সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু কংগ্রেসিদের এই ব্যাখ্যার আগেই কংগ্রেস নেতাকে বিঁধেছে বিজেপি। ফলে দলের নতুন ভবন উদ্বোধনের দিনেই দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন রাহুল।