স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এমনই সওয়াল খাড়া করলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরি বাতিল মামলায় নিজেদের যোগ্য দাবি করা এবং চাকরিরতদের একঝাঁক আইনজীবী। প্রশ্ন উঠল, তথ্য জানার অধিকার আইনে আসল ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রেকগনিশন), আসল রেজাল্ট পাওয়ার পরেও কেন তাঁদের শামিল করা হয়েছে বাতিলের তালিকায়? আগামী ২৭ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন সিবিআই তথা যারা নিজেদের যোগ্য অথচ চাকরি পাননি বলে দাবি করছেন, তাঁদের এইসব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়ার পরেও ২০২১ সালে এক মামলার জেরে চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ, আসল ওএমআর শিট না থাকায় যোগ্য-অযোগ্য বাছা কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে চলছে শুনানি। বুধবার নিজেদের যোগ্য দাবি করা সব আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনল বেঞ্চ। তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিবাল, দুষ্যন্ত দাভে, মুকুল রোহতগি, প্রশান্ত ভূষণের মতো তাবড় আইনজীবীদের বক্তব্য।
এরই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানো একাংশ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর আইনজীবী জয়দীপ মজুমদারের এক সওয়ালে প্রধান বিচারপতি ভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করলেন। জয়দীপবাবু বলেন, ‘তথ্য জানার অধিকারে ২০১৮ সালে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের সহকারী শিক্ষকের পাশাপাশি গ্রুপ সি এবং ডি অশিক্ষক কর্মীদের একাংশের আসল ওএমআর এবং রেজাল্ট পেয়েছি। যার সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফলাফলের মিলও রয়েছে। কিন্তু সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা হার্ড ডিস্কের স্ক্যান ওএমআরের সঙ্গে মিলছে না বলে আমার প্রায় হাজার মক্কেলের চাকরি যাবে কেন?’ যা শুনে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘এ তো নতুন এক বিষয় সামনে এল। তার মানে কি গোটা ওএমআর শিটের স্ক্যান কপিই বদলে গিয়েছে?’ এমনই প্রশ্নের আবহে এদিন শেষ হয়েছে ‘যোগ্য’দের শুনানি। আগামী দিনে নিজের বক্তব্য জানাবে সিবিআই।