স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত বছর ছয়েক আগে। গুর্জর সম্প্রদায়েরই যুবক ভিকম ওরফে ভিকির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তানুর। কয়েক বছর আগে তানুর বাড়িতে জানাজানি হতেই সমস্যা শুরু হয়। উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা ভিকির সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না মহেশ। সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনায় কর্মরত এক যুবকের সঙ্গে তিনি তানুর বিয়ে ঠিক করেন। আর সেই বিয়েতেই বেঁকে বসেন তানু। এর জন্য নিয়মিত বাড়িতে তাঁকে মারধরও করা হতো। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে নির্যাতনের কথা জানিয়েছিলেন ওই তরুণী। তাতে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, যদি তাঁর কিছু হয়ে যায়, তাহলে সে জন্য দায়ী থাকবেন বাবা ও তুতো ভাই রাহুল। সেই ভিডিও দেখেই স্থানীয় পুলিস ও পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা তানুর বাড়িতে বিষয়টি তদারকির জন্য যান। তানুকে ডেকে মহেশের পরিবারের সঙ্গে প্রশাসনের তরফে আলোচনাও চলে। হঠাৎই মেয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে মহেশের পরিবার তানুকে নিয়ে একটি ঘরে চলে যান। কিছুক্ষণেই মধ্যেই গুলির শব্দ। মেয়ের কপাল ভেদ করে বেরিয়ে যায় বাবার বন্দুক থেকে ছোড়া গুলি। তড়িঘড়ি পুলিস ঘরে ছুটে গেলে তানুর মৃত্যু নিশ্চিত করতে আরও একবার গুলি করে রাহুল। ততক্ষণে মহেশকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিস। তবে রাহুল পালিয়ে যায়। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে ভিকিকেও খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।