অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
ভাগবত বলেছিলেন, সর্বত্র রামমন্দির ধাঁচের আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টার সঙ্গে ধর্ম বিশ্বাসের সম্পর্কই নেই। আসল লক্ষ্য সাম্প্রদায়িকতা। এসব ভারতীয় সংস্কৃতি নয়। ভাগবত বলেছিলেন, রামমন্দির ছিল একটি ভারতীয় আস্থা। সমগ্র হিন্দুসমাজ রামমন্দিরের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু তার সঙ্গে অন্য কোনও বিতর্কের সামঞ্জস্যই নেই। যে কোনও স্থানে একইরকম রামমন্দির ইস্যু করা যায় না।
গোটা দেশে নতুন করে যখন কখনও উত্তরপ্রদেশ, কখনও আজমির শরিফ নিয়েও অযোধ্যা ধাঁচের বিতর্ক শুরু হয়েছে। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে দেখা গিয়েছে বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ব প্রচার। সেই আবহে মোহন ভাগবতের আচমকা ওই সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা নিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়। কেন তিনি এরকম একটি বার্তা দিলেন এবং অবস্থান নিলেন সেই চর্চাও তুঙ্গে। এবার দেখা যাচ্ছে মোহন ভাগবতের কথারই অবিকল পুনরাবৃত্তি মোদির মুখে। মোদি ক্রিসমাসের প্রাক্কালে মঙ্গলবার বাছাই করে তাঁর সোমবারের একটি বক্তৃতার যে অংশগুলি নিজের সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন, সেখানে ধর্ম নিরপেক্ষতার বার্তাই বেশি দিয়েছেন। দিল্লিতে ক্যাথলিক বিশপদের সম্মেলনে কার্ডিনাল, বিশপ, আর্চবিশপ সহ খ্রিস্টান সমাজের সঙ্গে মিলন অনুষ্ঠানে সোমবার মোদি যোগ দেন। সেখানে ভাষণে বলেন, যিশু খ্রিষ্টের শিক্ষা হল, শান্তি, সমন্বয়, ভ্রাতৃত্ব। আমাদের সকলকেই এক হতে হবে শান্তি বজায় রাখতে। সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করার চক্রান্তকে মোকাবিলা করতে হবে। ঐক্যই ভারতের শক্তি। বিজেপি তথা সংঘ পরিবারের নতুন রণকৌশল কী?