অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
ভূস্বর্গের একটি ঐতিহ্যবাহী পদ হল হারিসা। মূলত খাসির মাংসের সঙ্গে বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। কাশ্মীরিদের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই খাবার। হারিসা মূলত ব্রেকফাস্টে রুটির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় এই খাবার। পাশাপাশি শরীরকে উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে। স্বাদে এই খাবার অনবদ্য বলেও জানিয়েছেন পর্যটকরা। শ্রীনগরে খাবারের দোকান রয়েছে মহম্মদ সুলতানের। শীতের মরশুমে প্রতিদিন ১০ হাজার প্লেট হারিসা বিক্রি করেন তিনি। সুলতানের কথায়, বিগত কয়েক বছরে ধরে জনপ্রিয়তা বেড়েছে হারিসার। বিশেষ করে শীতকালে। এটি যেমন ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে, তেমনি আবার শরীরে প্রোটিনের অন্যতম উৎস।
শুধু আমিষ খাবার নয়। বিভিন্ন শুকনো সব্জির পদও তৈরি করেন উপত্যকাবাসী। লাউ, বেগুন, শালগম ও টমেটোর মতো সব্জি গ্রীষ্মকালে শুকিয়ে রাখেন তাঁরা। শীতের সময় সেগুলি রান্না করে খান। তবে শুকনো নয়, শীতে প্রচুর পরিমাণে তাজা সব্জি পাওয়া যায় উপত্যকায়। শ্রীনগরের শুকনো সব্জি বিক্রিতা গোলাম রসুল বলেন, শুকিয়ে রাখা সব্জির বিভিন্ন পদ আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। রোগমুক্তিতে এর জুড়ি মেলা ভার। আবার শরীরে পুষ্টির অভাবও পূরণ করে থাকে। তাছড়া উপত্যকায় ঘর গরম রাখতে কাংরি (কাঠের উনুন) এবং পশমের তৈরি পোশাকের চাহিদা এখন তুঙ্গে।