অমিত শাহের বেফাঁস মন্তব্যে বিজেপি কয়েকদিন ধরেই দিশাহারা ছিল। এবার তার আঁচ পড়ছে সরকারেও। কারণ, প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও মোদি সরকারের আয়ুর প্রধান দুই স্তম্ভ নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই ইস্যুতে প্রবল ক্ষুব্ধ।
কেউ চাইলেই আর দেখানো যাবে না পোলিং বুথের সিসি ক্যামেরা ও ওয়েবকাস্টিং ফুটেজের মতো বৈদ্যুতিন নথি। হঠাত্ করেই নির্বাচনী বিধিতে বদল এনে এমন ‘নিষেধাজ্ঞা’ চাপিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।
প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে কাশ্মীর। ‘চিল্লাই কালান’ শুরু হতেই বরফের চাদরে ঢেকেছে উপত্যকা। রাজধানী শহর শ্রীনগরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। শ্রীনগরে অর্ধ শতাব্দীর শীতলতম রাত ছিল গত শনিবার।
আগে ব্যাখ্যা করেছিলেন ‘কর সন্ত্রাস’ বলে। আর এবার মোদি সরকারের জিএসটি ব্যবস্থাকে ‘ন্যাশনাল ট্র্যাজেডি’ বা ‘জাতীয় বিপর্যয়’ নাম দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম।
মোবাইল সচল রাখতে এখন সময়ে সময়ে রিচার্জ করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রাহকরা। কিন্তু ভয়েস কল বা ডেটার জন্য আলাদা কোনও প্ল্যান নেই। ভয়েস কলের সঙ্গে ডেটাও কিনতে হয়। এজন্য গুণতে হয় বাড়তি টাকা। কিন্তু প্রয়োজন না থাকলেও কেন ডেটা কিনতে হবে?
অবশেষে বোধোদয় শ্রমমন্ত্রকের আওতায় থাকা কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের (ইএসআইসি)। অনলাইনে বিভিন্ন ইএসআই হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য বুকিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা। বাড়ছে হয়রানি।
কাঁচা বাজারের দামে আগুন। হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। দক্ষিণ দিল্লির কালকাজি বাজারে গিয়ে নিজে হিসেব নিলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা জানলেন বাজারদর। খোঁজ নিলেন এই বাজারদরে কী করে সংসার সামলান দিন আনি দিন খাওয়া দিল্লিবাসী।
ফের উত্তরপ্রদেশে দলিত নিগ্রহের ঘটনা। ১৭ বছরের দলিত কিশোরকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। তার গায়ে প্রস্রাবও করে অভিযুক্তরা। তাকে নিজের থুতুও চাটতে বাধ্য করা হয়।
অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
জয়পুর: স্থানীয় সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এক কৃষক। দাবি না মানলে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন। তবে তার আগেই বিদ্যাধর যাদব নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিস। এরপরই এই গোটা অভিযানের খরচ বাবদ তাঁর থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠিয়েছেন স্বয়ং জেলার পুলিস সুপার। তাতেই মাথায় হাত পড়েছে ওই কৃষকের। রাজস্থনের ঝুনঝুনু জেলার গোথরার এই ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক। পুলিস জানিয়েছে, জমির ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিবাদের জেরে ঘটনার সূত্রপাত। খাদান তৈরির জন্য বিদ্যাধরের পৈত্রিক বাড়ি ভেঙে দিয়েছিল ওই সিমেন্ট কোম্পানি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা কোম্পানি দেয়নি বলে অভিযোগ। দেওয়া হয়নি কোনও স্থায়ী বাসস্থান। জবরদখলের পাশাপাশি কোম্পানির বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও করেছে বিদ্যাধরের পরিবার। ওই কৃষকের অভিযোগ, ‘জমি দখল করার পাশাপাশি আমাদের পৈত্রিক বাড়ি ভেঙে দিয়েছে ওই কোম্পানি। নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলাম। এটাই ছিল অপরাধ। এখন মিথ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই বাকি নেই।’ সূত্রের খবর, গোথরার গ্রামে রয়েছে বিদ্যাধর ও তাঁর ভাই সুকদেবের ৩১ হাজার ১৮০ বর্গ মিটার জমি। জমিটি সিমেন্ট কোম্পানির খাদান এলাকার মধ্যে পড়ে যায়। ২০২১ ও ২০২৩ সালে প্রশাসনের আশ্বাস অনুযায়ী, তাঁদের ৩ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোম্পানি পুরো টাকা মেটায়নি। বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সিমেন্ট কোম্পানির গেটের সামনে সপরিবারে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন বিদ্যাধর। ঘটনার দিন তিনি আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকেন। খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে আসে প্রায় ১০০ পুলিসকর্মী। জীবন শেষ করার আগেই বিদ্যাধরের আটক করে পুলিস। পরে ১৭ ডিসেম্বর ওই কৃষককে অভিযানের খরচ বাবদ ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৭৭ টাকা মেটানোর নির্দেশ দেন এসপি শারদ চৌধুরী। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
