সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
এবার দেখা গেল, অভিষেকের সেই সুরেরই প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে বিজেপি বিধায়কের কার্যক্রমে। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ প্রাইভেট মেম্বার বিল বিধানসভায় আনতে চলেছেন। শিশুর শৈশব সুরক্ষা সংক্রান্ত বিল তিনি বিধানসভায় আনছেন। বুধবার বিধানসভার প্রধান সচিব সুকুমার রায়ের কাছে বিল সংক্রান্ত সব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। শঙ্কর ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘এব্যাপারে আমি কিছু বলব না।’
বস্তুত, বিধানসভার কার্যপ্রণালী ও পরিচালন নিয়মাবলির অধ্যায় ১০-এ বিল সংক্রান্ত বিধি প্রণয়ন বিস্তারিতভাবে লেখা হয়েছে। তাতে প্রস্তাবের নোটিস দেওয়ার প্রয়োজনীয় সময় ১৪ দিন হবে বলে উল্লেখ করা আছে। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশন চলবে দিন দশেক। এই অবস্থায় বিজেপি বিধায়ক প্রাইভেট মেম্বার বিলের যে প্রস্তাব রেখেছেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। প্রাইভেট মেম্বার বিল সংক্রান্ত বিষয়টি বিধানসভার কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা।
তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম প্রাইভেট মেম্বার বিলের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। তাতে বিজেপি শিবির যে চাপে পড়ে গিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, ধর্ষণে কড়া শাস্তির বিধান দিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পাস হয় ‘অপরাজিতা বিল।’ বিলে সর্বোচ্চ শাস্তির সঙ্গে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে বিচার। ২১ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি, প্রয়োজনে অতিরিক্ত ১৫ দিন, তার মধ্যেই তদন্ত শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বিল বিধানসভায় পাস হওয়ার পর রাজভবনে গিয়েছে। তারপর এখন তা রাষ্ট্রপতি ভবনে।