সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সরকারি মেডিক্যাল কলেজে যেখানে আসন সংখ্যা ৫৫ হাজার, সেখানে ৬০০ এর বেশি নম্বর পাওয়া ৮০ হাজার ৪৬৮ জন কী করে জায়গা পাবে? কী করেই বা ৭২০র মধ্যে ৭২০ নম্বরই পেল ৬৭ জন? ২০২৩ সালে পুরো নম্বর পেয়েছিল মাত্র দু’জন। তার আগের বছর কেউ নয়। ২০২১ সালে তিনজন। তাই তথ্য তুলে ধরে এবারের নিট পরীক্ষাকে ‘ব্যাপম টু’ দুর্নীতি বলেই তোপ দাগল কংগ্রেস।
অন্যদিকে, সরকার এদিনও জানাল, কোনও দুর্নীতি হয়নি? পরিস্থিতি ম্যানেজ করতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এদিন কয়েকজন নিট পরীক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আশ্বাস দেন, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। সরকার পুরোপুরি তাদের পাশে আছে। উল্লেখ্য, ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে যে ১ হাজার ৫৬৩ জনকে গ্রেস মার্কস বা অতিরিক্ত নাম্বার দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। আগামী ২৩ জুন চাইলে তারা ফের পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা এবং বিনীত পুনিয়া এদিন এআইসিসিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, পরীক্ষার্থীরা সাধারণত বাড়ির কাছের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে চান। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খবরে প্রকাশ বিহারের ছাত্র পরীক্ষা দিতে গিয়েছে গোধরায়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বিহার পুলিস ১৩ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে। তাহলে কোনও যুক্তিতে মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলছেন, কোনও দুর্নীতি হয়নি? প্রশ্ন তুলে পবন খেরার অভিযোগ, কোচিং সেন্টার, দালাল আর সরকারি সংস্থার যোগসাজশেই নিট দুর্নীতি হয়েছে। ভবিষ্যৎ ডাক্তারদের শিক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা চলছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র বিনীত পুনিয়া বলেন, বিস্ময়কর হল, এবার বেশি নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। সাধারণত কোনও পরীক্ষায় যা হয় উল্টো। ৬৯০ নম্বর পেয়েছেন সাড়ে চার হাজার জন। ৭০০ পেয়েছেন ২ হাজার ২৫০। ৭১০ পেয়েছেন ৫০০ জন। এরকম চমকপ্রদ ফলাফল আগে কোনওদিনও হয়নি। তাই কংগ্রেসের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে পুরো বিষয়টির তদন্ত করতে হবে। মুখ খুলতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও কংগ্রেস সোচ্চার হবে বলেই এদিন জানিয়ে দিয়েছে।