নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পেনশনভোগীদের ব্যাঙ্ক বা কর্মস্থলে গিয়ে কাগুজে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করাই বাধ্যতামূলক ছিল একসময়। সেই সমস্যার সমাধানে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট চালু করার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেক্ষেত্রেও আঙুলের ছাপ দিতে কোনও ‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে’ হাজিরা দিতে হতো প্রবীণদের। তাঁদের যাতে শুধুমাত্র লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার জন্য বাড়ির বাইরে বেরতে না-হয়, তার জন্য মোবাইল ফোনেই তা জমা করার সুবিধা চালু হয়। মুখের ছবি তুলে ঘরে বসে সার্টিফিকেট জমা করার প্রবণতা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে বলে দাবি করল শ্রমমন্ত্রক। 
স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে নিজের মুখে ছবি তুলে সার্টিফিকেট জামা করার উদ্যোগ নেয় আধার কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই। তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতায় তৈরি হয় অ্যাপ। ২০২২ সালে চালু হওয়া এই পরিষেবায় সাড়া দিয়েছেন পিএফের আওতাভুক্ত বহু প্রবীণ, দাবি শ্রমমন্ত্রকের। তাদের দাবি, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যেখানে ২ লক্ষ ১০ হাজার পেনশনভোগী ফেস অথেন্টিকেশন বা মুখের ছবি তুলে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করেছেন, সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লক্ষ ৬০ হাজারে। গত অর্থবর্ষে প্রায় ৬০ লক্ষ পেনশনভোগী লাইফ সার্টিফিকেট জমা করেছেন। তার মধ্যে ১০ শতাংশের বেশি হয়েছে বাড়িতে বসে, জানিয়েছে শ্রমমন্ত্রক। 
প্রসঙ্গত, যদি কেউ ঘরে বসেই লাইফ সার্টিফেকেট জমা করতে চান, তাহলে তাঁকে স্মার্ট ফোনে দুটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপ দু’টি হল ‘আধার ফেস আরডি’ এবং ‘জীবন প্রমাণ’। মোবাইলটি আধারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। এই অ্যাপ দু’টি জানিয়ে দেবে, কীভাবে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। পিপিও এবং জীবন প্রমাণ আইডি সহযোগে সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন প্রবীণরা। তাঁদের মুখের ছবি স্ক্যান করবে আধার কর্তৃপক্ষ। নিজেদের ডেটাবেস থেকে সেই ছবি যাচাই করবে ইউআইডিএআই। তারপরই সম্পূর্ণ হবে গোটা প্রক্রিয়া।