সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
তবে তাতে বিতর্ক থামছে না। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপি বিধায়ক তথা মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের মন্ত্রী ছগন ভুজবলও। শুক্রবার তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে এনসিপিকে ৪৮টির মধ্যে মাত্র চারটি আসন দেওয়া হয়েছিল। সেই চারটির মধ্যেও দুটি আমাদের থেকে কার্যত নিয়ে নেওয়া হয়। দুটির মধ্যে একটিতে আমরা জিতেছি। কী করে কেউ বলে যে আমরা ৪৮টি আসনে লড়াই করেছি?’ উত্তরপ্রদেশে বিজেপির হার নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি। ভুজবলের বক্তব্য, ‘বিজেপি উত্তরপ্রদেশেও হেরেছে। কেউ ভাবেনি উত্তরপ্রদেশে বিজেপি এত কম আসন পাবে। সুতরাং অজিত পাওয়ারকে দায়ী করা উচিত নয়।’
তবে আরএসএসের বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি অজিত। তিনি জানান, এই নিয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তিনি আপাতত শুধু মহারাষ্ট্রের উন্নয়ন ও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোট কীভাবে ভালো ফল করবে, তা নিয়েই ভাবনাচিন্তা করছেন।
শুধু বিজেপি ও এনসিপির মধ্যে সমস্যা নয়, ভোটের পরে অজিতের দলের অন্দরেও জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিন ভুজবল জানান, লোকসভায় তিনি নাসিক আসন থেকে লড়তে চেয়েছিলেন। তা না হওয়ায় রাজ্যসভার টিকিট পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু তার বদলে অজিতের স্ত্রী সুনেত্রাকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হয়েছে। ভুজবলের সঙ্গে অন্যায় হল কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওঁদেরকেই এই প্রশ্ন করুন।’ যদিও সুনেত্রার মনোনয়নপত্র পেশের সময় ভুজবল উপস্থিত ছিলেন।
সঙ্ঘের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছিল, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে জোট করা ভুল হয়েছে। এর ফলে বিজেপির নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্ষতি হয়েছে। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। চলতি বছরের শেষেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে অজিতের হাত ছেড়ে লড়াই নিয়ে বিজেপি অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে খবর।