শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের একাংশ লিপা উপত্যকার লঞ্চপ্যাডে অপেক্ষা করছে। প্রায় ৪৫০-৫০০ জঙ্গি সেখানে জড়ো হয়েছে। পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের হামলা চালানোর ছক কষেছে। এছাড়া, কাশ্মীরেও অশান্তি ছড়ানোর চক্রান্ত করেছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। এদের অনেকেই বালাকোটের জঙ্গিশিবিরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই পাকিস্তান মরিয়া হয়ে উঠেছে। কূটনৈতিকভাবে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার বারবার চেষ্টা চালিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দেশ। কিন্তু, প্রত্যেকবারই মুখ পুড়েছে তাদের। এবার লক্ষ্যপূরণে তাই সরাসরি জঙ্গিদের সাহায্য নিচ্ছে তারা।
ভারতীয় সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের সাহায্য নিয়ে উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীর উত্তপ্ত হয়ে উঠলেই, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনকে বলা যাবে, ভারত বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ায় সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই ভাবে ভারতকে বিপাকে ফেলার কৌশল নিয়েছে ইমরানের দেশ। যদিও গোটা পরিকল্পনাই ভারতের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এবং অন্যান্যবারের মতো এবারও গোটা ছক ব্যর্থ হবে।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর প্রত্যাঘাত করে পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় সাত মাস। এরমধ্যেই ফের বালাকোটের জঙ্গিঘাঁটিগুলি সক্রিয় হয়ে উঠছে। পাক সেনার সাহায্যে সেখানে ফের তত্পরতা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, কমপক্ষে ৫০০ জঙ্গি ভারতের অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। সোমবার এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। এদিন চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের নতুন ঘাঁটি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দেন রাওয়াত। ইতিমধ্যেই এজন্য সীমান্তে কড়া নজরদারি ও সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় সেনা। বালাকোট নিয়ে এদিন সেনাপ্রধান বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তান বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটি ফের সক্রিয় করেছে। ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বাসুসেনার বিমানহানার সেখানে প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। সেই সময় যারা পালিয়ে যেতে পেরেছিল, তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ঘাঁটিতে।
বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে এই তত্পরতা ঠেকাতে ভারত কী ফের এয়ার স্টাইক করবে? এর উত্তরে আক্রমণাত্মক রাওয়াত। তাঁর কথায়, ‘কেন একইরকম জবাব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে? এর আগে আমরা একরকমভাবে জবাব দিয়েছিলাম। বালাকোটে আমরা অন্য ভাষায় জবাব দিয়েছি। কেন আগের বারের পুনারাবৃত্তি করতে হবে, তার থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু আমরা করতে পারি।’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিগত কয়েক বছরে ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিকাল স্টাইক, বালাকোটে বায়ুসেনার হানার মতো বড়সড় অপারেশন করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রত্যাঘাতের গোটা প্রক্রিয়ায় নতুনত্ব ছিল। এবারও প্রয়োজন হলে একেবারে নয়া কোনও পন্থা নিতে পারে ভারত। বায়ুসেনা প্রধানও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাওয়াতের কথায়, আমরা আগে থেকে কেন কিছু বলব? পাকিস্তানও ভাবুক। ওরা ভাবতে থাকুক। অন্যদিকে, রাওয়াত জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা চালাতে পারে। তবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করতে ভারতীয় সেনা প্রস্তুত রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।