নয়াদিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): বিচারপতিদের নিয়োগ এবং বদলি বিচার ব্যবস্থা পরিচালনার মূল ভিত্তি। এতে হস্তক্ষেপ করা হলে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তার পরিণাম ভালো হবে না। সোমবার একটি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি আকিল কুরেশির বদলির সুপারিশ করেছিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। কেন্দ্রীয় সরকারকে তা কার্যকর করার নির্দেশ দিতে হবে, এই মর্মে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল গুজরাত হাইকোর্ট অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশন। এদিন আবেদনটিকে বিচারাধীন রাখল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এস ও নাজিরের বেঞ্চ। এই মামলার পর্যবেক্ষণেই বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বেঞ্চ। কেন্দ্র কলেজিয়ামের সুপারিশ কার্যকর না করা পর্যন্ত মামলাটিকে বিচারাধীন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতিরা। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পুলিস হেফাজতে ফেরত পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি কুরেশি। এর জন্য তাঁকে বদলি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি যতীন ওঝা।
কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে চলতি বছরের ১০ মে বিচারপতি কুরেশিকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। পরে গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগের সুপারিশ করে কলেজিয়াম। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তা শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে, কলেজিয়ামের সুপারিশ গ্রহণ না করে গত ৭ জুন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি রবিশঙ্কর ঝাকে নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টিকে বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলেই অভিযোগ তুলেছে গুজরাত হাইকোর্ট অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশন।