বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিস্তর আলোচনা পর্ব ও দর কষাকষির স্নায়ু যুদ্ধ পেরিয়ে গতকাল কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের আসন রফা ঘোষণা হয়েছে। ২৮টির মধ্যে ৮টি আসন ছাড়া হয়েছে দেবেগৌড়ার দলকে। ২০টিতে প্রার্থী দিচ্ছে কংগ্রেস। জেডিএসের ভাগে পড়েছে শিবমোগা, টুমকুর, হাসন, মাণ্ড্য, বেঙ্গালুরু উত্তর, উত্তর কন্নড়, চিকমাগালুরু ও বিজয়পুরা আসন। তার মধ্যে হাসানে প্রোজ্জ্বলের মতোই মাণ্ড্য থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে দেবেগৌড়ার আরও এক নাতি নিখিলকে। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট দলেরই একটা অংশ। পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে জেডিএস প্রধানের বিরুদ্ধে। এমনিতে হাসন ও মাণ্ড্য, দু’টি আসনই জেডিএসের শক্ত ঘাঁটি। এই দুই আসন থেকে দুই নাতিকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেবেগৌড়াকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপিও। পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে শোরগোল চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তারই মধ্যে প্রোজ্জ্বলের হয়ে প্রচার শুরু করলেন দেবেগৌড়া। আর তা করতে গিয়ে আবেগ চাপতে পারলেন না প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। সকাল থেকে অভিযোগের বন্যা বইতে শুরু করায় ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল।
মাণ্ড্য থেকে অন্য নাতিকে প্রার্থী করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘গো ব্যাক নিখিল’ প্রচার শুরু হয়েছে। যা নিয়ে পরে দেবেগৌড়া সাংবাদিকদের বললেন, মাণ্ড্য থেকে নিখিলকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত জেডিএসের নেতারা নিয়েছে। আমি কোনও ঘোষণা করিনি। ওরা ‘গো ব্যাক নিখিল’ স্লোগান দিচ্ছে। আমি ব্যথিত। আমি নিজে মাণ্ড্য যাব। যাদের জন্য গত ৬০ বছর ধরে লড়াই করেছি, তাদের গো ব্যাক স্লোগান তুলতে দিন। মাণ্ড্যর মানুষের জন্য নিজের সবটুকু দিয়ে দেব।
দেবেগৌড়ার যাই বলুন, আক্রমণ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। তারা প্রচার করতে শুরু করেছে, দেবেগৌড়ার পরিবারের রাস্তা পরিষ্কার করতে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের কর্মীদের অবহেলা করা হচ্ছে। জেডিএস প্রধানের কান্নাকে নাটক বলতেও ছাড়ছে না কর্ণাটকের বিরোধী দল। বিজেপির খোঁচা, দেবেগৌড়া ও তাঁর পরিবার কান্নাকাটিতে ওস্তাদ।