জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এই পর্বে সদ্য অনুষ্ঠিত দিল্লি ভোট এবং তার আগে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়ায় রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, নাম না করে বিজেপিকেই গেঁথেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মহারাষ্ট্র ও দিল্লির নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা দখলের পর বিরোধীদের তরফে প্রমাণ সহ ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে। ভোটের আগে অস্বাভাবিক হারে ভোটার বৃদ্ধি ও প্রকৃত ভোটার বাদ পড়ার চিত্র সামনে এসেছিল। মহারাষ্ট্র ও দিল্লি দখলের পর পদ্মপার্টি এবার ‘পাখির চোখ’ করেছে বাংলার মসনদকে। গত এক বছর ধরে নানা প্রসঙ্গে ‘যে কোনও মূল্যে’ ২০২৬’এ বাংলায় ক্ষমতায় আসার হুঙ্কার দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। মমতা সহ গোটা তৃণমূল শিবির মনে করছে, বাংলায় ক্রমহ্রাসমান রাজনৈতিক শক্তি পদ্মপার্টি এখন তাই ‘কারচুপির’ রাস্তায় হাঁটতে নেমেছে।
দেশের অন্যতম বড় রাজ্য মহারাষ্ট্রে গত পাঁচ বছরে ভোটার বেড়েছিল ৩২ লক্ষ। কিন্তু ভোটের ঠিক আগের পাঁচ মাসেই মারাঠাভূমে ভোটার বেড়েছে ৩৯ লক্ষ! এই সংখ্যাটাই গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাদের মতে, এটাই পদ্মপার্টির নতুন ‘ইলেক্টোরাল মডিউল’। লক্ষ্য, ‘মাইক্রোম্যানেজ অব বুথস’। নির্দিষ্ট সংখ্যক বুথকে চিহ্নিত করে বড় অংশের ভোটারদের বাদ দেওয়া এবং নিজেদের পক্ষের নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা। সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভার ভোটের পর জানা যায়, মাইক্রোম্যানেজ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে গাজিয়াবাদ, শাহিবাবাদ ও গুরুগ্রামের মতো এলাকার ‘বহিরাগত’রা ভোটার তালিকায় ঢুকেছে। দিল্লিতে এবার ৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়ে, ৮ লক্ষ নাম ঢুকেছে। মমতার অভিযোগ, ভুতুড়ে রাজনৈতিক দলের ওই ইলেক্টোরাল মডিউলের নজরে এবার বাংলা। তাঁর কথায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বুলডোজার দিয়ে ভাঙতে চাইছে। নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগাচ্ছে। ইডি-সিবিআইকে নামিয়ে দিয়েছে। অনলাইনে ভোটারের নাম তোলা হচ্ছে। একটি ভুতুড়ে রাজনৈতিক দল এসব কাণ্ড করছে।’ তাঁর কাছে নির্দিষ্ট তথ্য এসেছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভুতুড়েদের এখানে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তারা পৌঁছে গিয়েছে। এখানে এসে বাবুরা বসে আছে। পরিকল্পনাটা কী? প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ২০-৩০ হাজার করে বহিরাগত ঢোকাবে। যারা এখানে থাকে না, এখানকার ভোটার নয়, তাদের দিয়ে ভোট করাবে। বিহার থেকে লোক আনছে। কারচুপি-চুরিটা ধরে ফেলেছি। অঙ্ক কষা শুরু করেছি। বাংলায় এসব করতে দেব না। সব ভেস্তে দেব।’