জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এবিষয়ে বাজেট পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মহিলাদের উন্নয়নে এখানে গৃহীত একাধিক প্রকল্প অন্যান্য রাজ্যের কাছে আজ মডেল। এই ধারাই রাজ্যে বজায় থাকবে। মহিলাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত বছরগুলিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ একাধিক প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এছাড়াও মহিলাদের স্বনির্ভরতার জন্যেও একাধিক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে পর্যাপ্ত অর্থ সাহায্যের মাধ্যমে তাঁদের কাজের সুযোগও তৈরি করে দিয়েছে নবান্ন। আর সেই লক্ষ্যেই এবারের বাজেটে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির তৈরি পণ্য বাজারজাত করতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিশেষ ঘোষণা করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্যে বর্তমানে কয়েক লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। একাধিক মেলায় জায়গা করে দিতে তাঁদের তৈরি পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয় রাজ্য সরকার। এবার প্রতি জেলা সদরে একটি করে শপিং মল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সেই মলের দুটি করে তল শুধু মাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের জন্য রাখা হবে বলেই এদিন বাজেটে ঘোষণা করা হল। যার জন্য এবারের বাজেটে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দও করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এছাড়াও নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যের সব থেকে বড় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষে এই প্রকল্পের উপভোক্তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২১ লক্ষ। প্রত্যেক মাসে এই প্রকল্পের অধীন তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা ১২০০ টাকা এবং অন্যান্যদের এক হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য। এই প্রকল্পের জন্য ২০২৪-২৫ যেখানে ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, সেটাই ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বাড়িয়ে ২৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা করা হল। একই ভাবে কন্যাশ্রী প্রকল্পে এই অর্থ বর্ষে ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ছাত্রীকে এক হাজার টাকা করে বার্ষিক বৃত্তির জন্য নথিভুক্ত হয়েছে আর ২৫ হাজার টাকা করে এককালীন সুবিধার জন্য ২ লক্ষ ছাত্রীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও রূপশ্রী প্রকল্পে চলতি অর্থবর্ষে এককালীন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে ২ লক্ষ ৮ হাজার মহিলাকে। যার জন্য খরচ গিয়েছে ৫০৪.২৫ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, এই তিনটি প্রকল্পের রূপায়ণের দায়িত্বেই রয়েছে নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষে এই দপ্তরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ২৬ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। যেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই দপ্তরের বাজেট প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা।