জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট ভাষণে রাজ্য সরকারের নিজস্ব আয়বৃদ্ধির বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের উপর বোঝা না চাপিয়ে সরকারের আয় বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োগ ও কর প্রশাসনকে শক্তিশালী করেই সম্ভব হয়েছে এটা। ইলেকট্রনিক ওয়ে বিল, উৎস থেকে কর আদায় ব্যবস্থার সংযুক্তিকরণ, জিএসটি সুবিধা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আয়বৃদ্ধির সহায়ক হয়েছে এগুলি। বিরোধ নিষ্পত্তি স্কিম চালু করে ২৩০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা গিয়েছে। অন্যদিকে বাজেট নথিতে বলা হয়েছে, বাম সরকারের শেষ বছরে (২০১০-১১) রাজ্যের নিজস্ব কর বাবদ আয় ছিল মাত্র ২১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। এই ব্যাপারে ২০২৫-২৬ সালের জন্য ১ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে নিজস্ব আয়বৃদ্ধির পরিমাণ হবে ৫.৩৩ গুণ। বাজেট নথি আরও বলছে, কেন্দ্রীয় করের অংশ বাবদ রাজ্যের আয়ও বেড়েছে। ২০২৩-২৪ সালে এই খাতে রাজ্য সরকারের আয় হয় ৮৪ হাজার ৯৭১ কোটি। ২০২৪-২৫ সালে তা হয়েছে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। সিজিএসটি, আয়কর, কর্পোরেট কর, কাস্টমস প্রভৃতি কেন্দ্রীয় কর খাতে রাজ্যে যে অর্থ সংগৃহীত হয় তার ৪১ শতাংশ রাজ্য সরকারগুলি পেয়ে থাকে। রাজ্য সরকার এটা বাড়িয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ করার দাবি তুলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুদান খাতে রাজ্যের প্রাপ্য ২২ হাজার ৭২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২৮ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা হয়েছে। সব খাত মিলিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যের আয় ২৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা হয়েছে। তবে মোট আয় কম হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। বাজেট নথি অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ চলতি অর্থবর্ষে বেড়ে হচ্ছে ৭ লক্ষ ৬ হাজার কোটি টাকা। গতবছর তা ছিল ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ঋণ পরিশোধ খাতে রাজ্য সরকার এবছর ৭৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। আগামী বছরের জন্য ঋণ পরিশোধ বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৮১ হাজার কোটি টাকা।