জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বিশ্ববীর চিলারায়ের ৫১৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কোচবিহার-২ ব্লকের সিদ্ধেশ্বরীতে দু’দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অনন্ত মহারাজ পন্থী গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার শুরু হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান। বুধবারের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষত্রিয় জনজাতির সর্বস্তরের নেতৃত্ব। মঞ্চে একে একে ভাষণও দেন তাঁরা।
এদিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে কার্যত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। কেন্দ্রের সরকারের উপর যে তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ সেকথা অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চাই না। একথা বহুবার বলেছি। আমরা চাই কোচবিহার রাজ্যের সঙ্গে ভারত-ভুক্তি চুক্তির বাস্তব রূপায়ণ। বলেছি, কোচবিহার ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য ছিল, সেটাই করে দিন আপনারা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজ্যের বদলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিন। সেই মতো সরকারের প্রস্তাবও মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম সেটাও হল না। এরপরই বিজেপি সাংসদ বলেন, প্রথম সরকার গেল, দ্বিতীয় সরকারও গেল। তৃতীয় সরকার পড়তে পড়তে বেঁচে গেল। জানি না ওরা কি করতে চায়। ইদানীং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রীদের কাছে গেলেও তাঁরা দেখা করেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি’র রাজ্যসভার এই সাংসদ। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারের একজন এমপি। আমি তো ক্যাবিনেটে নেই। আমাকে হাতজোড় করেই মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাও তাঁরা দেখা করেন না। এনিয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, কোনও মন্তব্য করব না। রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতৃত্বই যা বলার বলবে। বুধবার বিশ্ববীর চিলারায়ের জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে কোচবিহারে দু’টি পৃথক জায়গায় বড়মাপের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের দুই পৃথক শিবির। অনন্ত শিবিরের অনুষ্ঠানটি হয় কোচবিহার-২ ব্লকের সিদ্ধেশ্বরীতে। আর এক গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনের নেতৃত্বাধীন সংগঠনের অনুষ্ঠানটি হয় কোচবিহার-১ ব্লকের কদমতলায়। ওই অনুষ্ঠানে গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনও কোচবিহারের মহারাজাদের সঙ্গে ভারত ভুক্তির চুক্তি মোতাবেক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হন।