জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এদিন বাজেট বক্তৃতার শেষ লগ্নে ডিএ প্রসঙ্গ আনেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলেন, ‘আমাদের সরকার সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সব সময় সহানুভূতিশীল। বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশের মাত্র ৩৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। এরপর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ১২৫ শতাংশ ডিএ বেসিকের সঙ্গে যুক্ত করে নতুন বেসিক পে ধার্য করা হয়। এর উপর সরকার ১৪ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। এবার তা ১৮ শতাংশে পৌঁছবে। এতে রাজ্য সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী সহ পেনশনভোগীদের মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কিছুটা লাঘব হবে।’ এদিন ডিএ ঘোষণা হতে প্ল্যাকার্ড হাতে বিধানসভার মধ্যেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। বাজেট বক্তৃতা শেষ হওয়ার আগেই তারা অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ডিএ’র হিসেব মেলালে হবে না। ডিএ অনেকটাই দেওয়া হয়েছে। যেটুকু বকেয়া রইল, সময়-সুযোগ হলে আমরা তা দিয়ে দেব।’ প্রসঙ্গত, নতুন হারে ডিএ কার্যকর হলে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের তফাৎ থেকে যাবে ৩৫ শতাংশ।
এদিনের বাজেটে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে গ্রামোন্নয়নে। তার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেছে কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। বিগত বাজেটে চলতি অর্থবর্ষের জন্য গ্রামোন্নয়নে বরাদ্দ ছিল প্রায় ২৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর অন্যতম অংশীদার বাংলার বাড়ি প্রকল্প। এদিন বাজেটে ঘোষণা করা হয়, ১৬ লক্ষ পরিবারকে নতুন করে এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেওয়া হবে আবেদন পিছু প্রথম কিস্তি বাবদ ৬০ হাজার টাকা। এরপর বাড়ির অগ্রগতির উপর নির্ভর করবে দ্বিতীয় কিস্তি। ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে শুধু এই খাতেই। পাশাপাশি স্কুলশিক্ষায় আগামী অর্থবর্ষের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। গতবার তা ছিল ৩৮ হাজার ২৪১ কোটি। স্বাস্থ্যখাতে এবার বরাদ্দের অঙ্ক ২১ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। বিপুল বরাদ্দ করা হয়েছে পরিকাঠামো খাতে। যেমন, জনস্বাস্থ্য কারিগরিতে ১১ হাজার ৬৩৭ কোটি, বিদ্যুতে ৪ হাজার ১৪২ কোটি, পূর্ত বিভাগে ৬ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় যথেষ্ট বেশি।
আনা হয়েছে একাধিক প্রকল্প, যার মধ্যে অন্যতম নদী বন্ধন, নদী ভাঙন রোধে সামগ্রিক মাস্টার প্ল্যান। এছাড়াও ১ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও ৭০ হাজার আশা কর্মীর প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি করে স্মার্ট ফোন।
রাজ্য সরকারের দাবি, পরিকাঠামো খাতে জোর দিলেই, তা কর্মসংস্থানের পথ দেখাবে। মানুষের হাতে নগদ জোগান বাড়বে। তাতে আরও জোরালোভাবে ঘুরবে অর্থনীতির চাকা।