জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সোমবার প্রশাসনিক ভবনের পাঁচতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সায়নী সেন (২৪)। বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে টোটোয় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। অনেক পরীক্ষার্থী সহ শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীরা হাজির হলেও বিক্ষোভের জেরে গেটের বাইরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। এই পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে অনেক পরীক্ষার্থী বাড়ি ফিরে যান। তাঁদের দাবি, পরীক্ষা স্থগিতের আগাম কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তাঁরা দেখেন, গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ চলছে। ভিতরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি কাউকে। এদিন দুপুরের পর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখার নোটিস দেওয়া হয়। এত দেরিতে নোটিস আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরীক্ষার্থীরা।
তৃণমূল প্রভাবিত অশিক্ষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়, পরীক্ষা থাকলেও পরীক্ষার্থীদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে বারবার কথা বলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই তাঁরা কর্ণপাত করেননি। দুপুরের পর ক্যাম্পাসে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক তাপস চক্রবর্তী। তিনি গেটের বাইরে আটকে পড়া সবাইকে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে চাইলেও তা হতে দেননি বিক্ষোভকারীরা। মূল গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে উপাচার্য নিজেই বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন একাধিকবার। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি।
বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের দাবি, ছাত্রী মৃত্যুর সম্পূর্ণ দায় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। এই দাবিতে দীর্ঘক্ষণ তুমুল বিক্ষোভ চলার পর বিকেলে পুলিসের উপস্থিতিতে গেট খোলা সম্ভব হয়। তখন ভিতরে ঢোকেন উপাচার্য সহ অধ্যাপক, কর্মচারী ও পড়ুয়ারা। উপাচার্য বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। সোমবার থেকে ফের পরীক্ষা শুরু হবে। পড়ুয়াদের দাবি আমরা বিবেচনা করে দেখব।’