জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
আজ মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিধানসভায় রাজ্য বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগামী বছরই বিধানসভা ভোট। তার আগে এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ফলে সে দিকে এখন চোখ বিরোধী, এমনকী সাধারণ মানুষেরও। ডিএ ইস্যুকে হাতিয়ার করে এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী শিবির। জবাবে ২০২৪’র জানুয়ারি থেকে ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পেশ করার সময়ই আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা। ফলে গত বছরের মে মাস থেকে ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। উপকৃত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী, পুরসভা-পঞ্চায়েতের কর্মী এবং পেনশন প্রাপকরাও। এবার অবশ্য বছরের শুরুতে ডিএ বৃদ্ধির পথে হাটেনি নবান্ন। সেই কারণেই বাজেটের আগের দিন নবান্নের ‘পাওয়ার করিডরে’ কর্মী-আধিকারিকদের মধ্যে জোর আলোচনা চলল মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে।
বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এবার বাজেটেই ছয় শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণার সম্ভাবনা চরমে। এমনকী চলতি অর্থবর্ষের মতো আগামী আর্থিক বছরেও রাজ্য সরকার দু’বার ডিএ বৃদ্ধি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুর্গাপুজোর আগে বা পরে মহার্ঘ ভাতা আরও ৩-৪ শতাংশ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৬’র জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হতে পারে। এছাড়া গতবারের মতো চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বাজেটে কোনও ঘোষণা থাকে কি না, সেদিকেও নজর রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের।
সামাজিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নেও এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষার পাশাপাশি এরাজ্যে বিনিয়োগ টানতে শিল্প সংক্রান্ত পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হবে। সূত্রের খবর, গ্রামীণ এলাকাতে তো বটেই, শহরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে পর্যন্ত বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। বাজেট পেশের আগে দুপুর সাড়ে তিনটেয় বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। যদিও পরপর দুটি মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। দ্বিতীয়টি (বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক) শুরু হবে দুপুর পৌনে চারটে থেকে।
বাজেট প্রসঙ্গে মঙ্গলবার পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক নীতির জোরেই অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকে আজ ‘এগিয়ে বাংলা’। এবারও তিনি রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন।