জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে নন্দঝাড় আদিবাসী তফসিলি হাইস্কুলে সিট পড়েছিল গোয়ালপোখর লোধান হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের। এদিন পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে পরিদর্শকরা চার ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। দেখা যায়, তাদের মধ্যে দু’জন ‘ক্লাস টেন বেঙ্গল’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রশ্নের ছবি পাঠিয়েছে। আরেকজন পাঠিয়েছে নিজের প্রাইভেট টিউটরের কাছে। পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে যেতে শুরু করে। পরীক্ষা আধঘণ্টা পেরনোর আগেই ধাপে ধাপে আসতে শুরু করে উত্তর। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি একটি কোচিং সেন্টারের। সেখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক বা একাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই ইংরেজির প্রবন্ধ, গ্রামারের বিভিন্ন উত্তর লিখে পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন। সমস্ত তথ্য সহ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কোচিং সেন্টারের টিউটরদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। তবে রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তারির কোনও খবর নেই। আর একজন ছাত্রের কাছে মোবাইল মিললেও তাতে প্রশ্নপত্রের ছবি বা উত্তর মেলেনি। ইতিপূর্বে একাধিকবার টোকাটুকিতে নাম জড়িয়েছে লোধান হাইস্কুলের ছাত্রদের। বরাবর যে পরীক্ষাকেন্দ্রে এই স্কুলের সিট পড়ত, এবার তা বদল করা হয়েছে। তার ফলেই কারচুপি ধরা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের।
এছাড়া, এদিন উত্তর ২৪ পরগনার হাজিনগর আদর্শ হিন্দি বিদ্যালয়ের এক ছাত্র মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ে ভাটপাড়া হাইস্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে। দুর্গাপুরের বেনাচিতি ভারতীয় হিন্দি হাইস্কুলের এক পরীক্ষার্থী বেনাচিতি নেতাজি বিদ্যালয়ে মোবাইল সহ ধরা পড়ে। পর্ষদকর্তারা বলছেন, মোবাইল নিয়ে না ঢোকার জন্য অন্তত ছ’টি ধাপে সাবধান করা হয়েছে পড়ুয়াদের। শিক্ষকদেরও নজরদারি কড়া করতে বলা হয়েছে। তারপরেও এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিল করা ছাড়া উপায় নেই। তবে এদিন ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষার্থীরা মোটের উপর সন্তুষ্ট। প্রশ্ন নিয়ে কোনও জায়গা থেকে তেমন ওজর-আপত্তি আসেনি।
প্রসঙ্গত, টোকাটুকিতে সাহায্যের অভিযোগে গত বছর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল একাধিক গৃহশিক্ষককে। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোবাইলের মাধ্যমে সহজে টুকলি চালাচালি রুখতে রিজিয়ন ভিত্তিক প্রশ্নপত্রের ক্রমবিন্যাসও আলাদা রেখেছে পর্ষদ। অন্যান্য বছর টোকাটুকি, মোবাইল ফোন উদ্ধারে শীর্ষে থাকে মালদহ জেলা। এ বছর বাড়তি নজরদারি থাকায় মালদহ এখনও পর্যন্ত নিরুপদ্রব। তার বদলে নতুন নতুন এলাকা উঠে আসছে টোকাটুকির মানচিত্রে।