সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
শনিবার সংসদে দাঁড়িয়ে নির্মলা জানিয়েছেন, দেশে দেড় লক্ষ ডাকঘর আছে। সঙ্গে রয়েছে আইপিপিবি। ২ লক্ষ ৪০ হাজার ডাকসেবকের নেটওয়ার্ক রয়েছে দেশজুড়ে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে নতুন করে সাজা হবে গোটা ব্যবস্থাকে। কী হবে নতুন পরিষেবা? এ প্রসঙ্গে ছ’টি বিষয় উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। গ্রামীণ কমিউনিটি হাব তৈরি, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অ্যাকাউন্ট চালু, ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) বা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছনো ও ইএমআইয়ের টাকা জমা নেওয়া, ছোট শিল্পে ঋণের ব্যবস্থা, বিমা পরিষেবা ও একাধিক ডিজিটাল পরিষেবা প্রদান।
ডাক বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, আইপিপিবি’র হাতে যেহেতু ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স আছে, তাই তারা এই ধরনের কাজ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে। তারা যেমন বেসরকারি সংস্থার হয়ে সাধারণ ও জীবন বিমা প্রকল্প বিক্রি করে, তেমনই বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ প্রকল্পও চালু আছে গ্রাহকদের সুবিধার্থে। কোনও গ্রাহক যদি কোনও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন এবং কিস্তির টাকা আইপিপিবি’র মাধ্যমে জমা করতে চান, তাও তাঁরা করতে পারেন অনেকদিন ধরেই। ব্যবসায়িক কাজে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে এখানে। গ্রাহক চাইলে সেভিংস অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন। ডিবিটি পরিষেবাও চালু আছে অনেকদিন ধরে। লক্ষ লক্ষ গ্রাহক ১০০ দিনের কাজের টাকা বা কিষাণ সম্মান নিধির টাকা পাচ্ছেন ডাক বিভাগ মারফত। পোস্ট অফিসে আধার পরিষেবা থেকে শুরু করে কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের যাবতীয় ডিজিটাল পরিষেবাও পান গ্রাহক। মহিলা উদ্যোগপতিদের সুরাহা দিতে গ্রামে গ্রামে রপ্তানিতে সাহায্য করার প্রকল্পও নতুন নয়। তাহলে নতুন কী? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পোস্ট অফিসগুলির ছিল না। সেই সুযোগ হয়তো আসতে চলেছে। তাঁদের কথায়, ‘প্রতিটি পোস্ট অফিসই আইপিপিবি’র কাউন্টার হিসেবে কাজ করে। ফলে গ্রাহকরা প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়া নতুন কোনও পরিষেবা পাবেন না, যা বাজেটে ঘোষিত হল। বাদবাকি সবই তাঁরা ইতিমধ্যেই পেয়ে অভ্যস্ত।’