সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল অনুপম গিরি নামে ওই কিশোরটি। লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলের রাস্তা ধরে হাঁটছিল। আধো অন্ধকারে হঠাৎ চোখে পড়ে বিশাল আকারের বাঘটি দাঁড়িয়ে। লেজ ধীরে ধীরে নাড়াচ্ছে। ক্রূর চোখ। স্থির দৃষ্টি। সে দিকে তাকিয়ে হাড় হিম হয়ে যায় অনুপমের। আতঙ্কে চিৎকার বেরিয়ে আসে গলা থেকে। পড়িমড়ি দৌড় শুরু করে। কাছাকাছি ছিল এক আত্মীয়ের বাড়ি। সেখানে কোনওক্রমে পৌঁছেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে কুলতলি-জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
মৈপীঠের ছ’নম্বর বৈকুণ্ঠপুর এলাকায় এরপরই প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের বাসিন্দারা খবর দেয় বনদপ্তরকে। বনকর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন। রাত পাহারার ব্যবস্থা হয়। শনিবার সকাল থেকে নজরদারির কাজও শুরু হয়। জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ ধরে পর্যবেক্ষণ চালান বনকর্মীরা। বনদপ্তরের দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক আধিকারিক বলেন, ‘বাঘ আজমলমারি ১২ নম্বর জঙ্গল থেকে বেরিয়েছিল। রাতে নিজের জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। তবে নজরদারি চলবে।’ আর অনুপম বলেছে, ‘ইটের রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার হাতে টর্চ ছিল। আচমকা রাস্তার ঠিক পাশে জঙ্গলের সামনে বাঘটাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। ভয়ে চিৎকার করে উঠি। এক ছুটে আত্মীয়ের বাড়ি চলে যাই। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।’ প্রসঙ্গত গত কয়েক সপ্তাহে আট বারেরও বেশি বাঘ হানা দিল মৈপীঠে।