মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
রাজ্য পুলিসের বিভিন্ন ইউনিটে প্রতি বছর স্পোর্টসের আয়োজন করা হয়। এর জন্য পুলিসকর্মীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কাটা হয়। বিভিন্ন ইউনিট ও ব্যাটালিয়ন থেকে সংগৃহীত টাকা জমা পড়ে পুলিস ডিরেক্টরেটে। মোট টাকার ২৫ শতাংশ বিভিন্ন ইউনিটে পাঠানো হয় স্পোর্টসের জন্য। অভিযোগ সিংহভাগ ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটে নির্দিষ্ট টাকার বাইরে আরও টাকা নেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিসের ওয়েলফেয়ার কমিটির কনভেনার বিজিতাশ্ব রাউত পুলিস ডিরেক্টরেটে অভিযোগ করেন, এসআইদের কাছে ১৭০০, এএসআই ও কনস্টেবলদের কাছ থেকে যথাক্রমে ১২০০ ও ৬০০ টাকা করে বাড়তি নেওয়া হয়েছে। বাদ নেই সিভিক সহ পুলিসের অন্যান্য কর্মীরাও। আরও অভিযোগ, পুলিস ডিরেক্টরেট থেকে পাঠানো টাকার একটা বড় অংশ খরচই হয়নি। খাতায়কলমে যত মানুষের উপস্থিতি দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তা ছিল না। বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটায় বিপুল খরচ দেখানো হয়েছে। এমনকী, পুলিসকর্মীদের থেকে বাড়তি যে টাকা অনৈতিকভাবে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই টাকাও স্পোর্টসের কাজে লাগানো হয়নি। পুলিসকর্তারাও বুঝতে পারেন, টাকা খরচের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। কী ধরনের অনিয়ম হয়েছে, তা খুঁজে বার করতেই সমস্ত ব্যাটালিয়ন, ইউনিটকে হিসেব দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিসকর্মীর কাছ থেকে নিয়ম মেনে কত টাকা কাটা হয়েছে, কত টাকা পুলিস ডিরেক্টরেট থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিট পেয়েছে এবং কত টাকা স্পোর্টসে খরচ হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ নথি জমা দিতে হবে। সব হিসেব খতিয়ে দেখার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।