মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
ছ’বছরের কমবয়সি শিশুদের সুস্বাস্থ্য ও পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপর বাড়তি জোর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পাশাপাশি শিশুমনে শিক্ষার বিকাশ ঘটাতেও বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর। নিত্যনতুন উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে প্রসূতি ও গর্ভবতী মহিলাদের খাবারের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য খাবার পরীক্ষা করার একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইসিডিএসে বিভিন্ন জায়গায় পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম দেখা যায়। তাই সেন্টারগুলি সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর। দপ্তর সূত্রের খবর, ২৩টি জেলায় আইসিডিএস কেন্দ্রের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১। সব সেন্টারের জন্য মোট বরাদ্দ হয়েছে ৯৫ কোটি ৫৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই ৯৫ হাজারেরও বেশি আইসিডিএসের অ্যাকাউন্টে টাকা চলেও গিয়েছে। এই টাকায় কী কী কিনতে হবে, তা সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এই টাকায় পড়ুয়াদের জন্য কিনতে হবে—প্লাস্টিকের মাদুর, উপযুক্ত টেবিল-চেয়ার এবং রান্নার জন্য অ্যালুমিনিয়ামের কড়াই, মগ, বালতি, লোহার খুন্তি ও কড়াই ঢাকার বিশেষ আয়তনের ঢাকনা। এছাড়া একটি ডিসপ্লে বোর্ড ও ফোল্ডিং ব্ল্যাকবোর্ড কিনতে হবে। জিআই কন্টেনারও কিনতে হবে রান্নার সামগ্রী রাখার জন্য। এছাড়া তালিকায় রয়েছে আরও একাধিক আসবাবপত্র। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মোট ১০৩৬৮টি আইসিডিএস কেন্দ্র রয়েছে। এই জেলার জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ৮ কোটি ২৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই ৮,২৯৩ টি সেন্টারে টাকা পৌঁছেও গিয়েছে।
এনিয়ে জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে আমরা ওই টাকা পেয়ে গিয়েছি। বেশিরভাগ অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছে গিয়েছে। বাকি টাকাও পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাড়াতাড়ি। এর ফলে শিশুদের সার্বিক বিকাশ হবে। এনিয়ে দপ্তরের এক কর্তা বলেন, আইসিডিএসের সার্বিক পরিকাঠামোর সমস্যার কারণেই বাড়বাড়ন্ত হয়েছে ইংরেজি মাধ্যম কিছু স্কুলের। নতুন উদ্যোগের সফল রূপায়ণের মাধ্যমে আরও কিছু বাচ্চাকে আমরা সেন্টারে আনতে পারব। কারণ, স্কুলের প্রায় সব পরিকাঠামোই থাকবে এখানে।