মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
সোমবার দুপুরে সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ শুনিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। সন্ধ্যায় সাজাপ্রাপ্তের হাতে তুলে দেওয়া হয় মামলার রায়ের নথি। কিন্তু সে তো ইংরেজি ভালো করে পড়তেই পারে না। তাই পাতার পর পাতা ইংরেজিতে লেখা নথিতে কোন আইনি ব্যাখ্যা লুকিয়ে আছে, যা তাকে ফাঁসির হাত থেকে বাঁচিয়েছে তা জানতে সঞ্জয় আব্দার জুড়েছে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। এতদিন তার সেলের কাছে বিভিন্ন সংবাদপত্র থাকত। কিন্তু সেদিকে ফিরেও তাকাত না সঞ্জয়। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেল উলটপুরাণ! সাতসকালে ঘুম থেকে উঠেই বাংলা ও হিন্দি সংবাদপত্র উল্টেপাল্টে দেখতে শুরু করে সে। রায়ের নথি পড়ে কেউ যদি বিষয়টি বাংলায় জলের মতো তর্জমা করে দেয়, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ, বন্দিদের দোরে দোরে ঘুরতে থাকে। সূত্রের খবর, জেল কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছে, এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পরে তার আব্দার মেটানোর চেষ্টা করা হবে। কর্মীদের কয়েকজনও আশ্বস্ত করেছে সঞ্জয়কে, জেলে আইনি সহায়তা ক্যাম্প বসলে সেখানে বিষয়টি সহজে জানা যাবে। সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা জেলজীবনে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ পেয়ে থাকেন। বন্দিদের রোলকল ও গাড়িঘোড়া দেখাশোনার কাজে উৎসাহ প্রকাশ করেছে সঞ্জয়। তবে তার কপালে কোন কাজ জুটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এদিন প্রথমার্ধেই দোষী সঞ্জয় রায়ের চরম সাজা অর্থাৎ ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। মামলা দায়েরের অনুমতিও মেলে। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তারপরই এই পদক্ষেপ। তবে শুনানির দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। এর মধ্যেই আচমকা জানা যায়, আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হবে আর জি কর কাণ্ডের শুনানি। এই ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৭ মার্চের পর। কিন্তু নিম্ন আদালতের সাজা ঘোষণা হতেই সিবিআইয়ের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘অভয়া’র বাবা-মা। নতুন মামলা দায়ের করে শুনানি এগিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী সৌমিক ঘোষাল। সেই আবেদনেই সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।