মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
সম্প্রতি সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমে বাংলার বিজেপির সাংগঠনিক কঙ্কালসার দশাটা সামনে এসেছে। বারবার নির্দিষ্ট সময়সীমা বাড়িয়ে, বেশ কিছুটা ‘জল’ মিশিয়েও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সেই পর্বেই প্রায় ২৫ হাজার বুথ ‘এড়িয়ে’ কীভাবে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ স্লোগান সফল হবে, আর কীভাবেই বা বাংলা দখলের এই স্বপ্ন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। তবে দলের কট্টরপন্থী যে অংশ সরাসরি মেরুকরণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, আর তার স্লোগান ‘যো হামারে সাথ, হাম উনকে সাথ’কে ব্রত করে এগতে চাইছে, তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এহেন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট।
সাংগঠনিক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন আগামী ৫ তারিখ এবং ১০ তারিখের মধ্যে জেলা সভাপতি নির্বাচন। তবে নির্বাচনই হোক বা সদস্য সংগ্রহ, বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে ‘দুধে জল মেশানোর’ অভিযোগ বারবার পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন ও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বৈঠকে সুনীল বনসল বলেছেন, বুথ স্তরের কমিটি গঠনে ‘জল’ মেশাবেন না। এই রাজ্য নিয়ে এমন অভিযোগ বারবার আসছে। বঙ্গ বিজেপির এক মহিলা সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক এদিন বৈঠকের শুরুতেই অমিত মালব্যর রোষানলে পড়েন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে কারা প্রচারে যাবেন, তা এক্স হ্যান্ডলে ফলাও করে প্রচার করেছিলেন ওই নেত্রী। মালব্যের ভর্ৎসনার পর তৎক্ষণাৎ তা ডিলিট করেন ওই বিধায়ক।
কেন্দ্রীয় নেতা ও পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন দুই সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা, সাংসদ জয়ন্ত রায়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার এবং অমিতাভ চক্রবর্তীর মতো নেতারা উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। একের পর এক সাংগঠনিক বৈঠকে কেন তিনি থাকছেন না, তা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারের ব্যাখ্যা ছিল, এই ধরনের বৈঠকে উনি (বিরোধী দলনেতা) কমফর্ট ফিল করেন না। বৈঠকগুলো দীর্ঘ সময় ধরে চলে। ওঁর রাজ্যজুড়ে অনেক কাজ থাকে, কর্মসূচি থাকে। আমরা পরে তাঁকে বৈঠকের ব্রিফ করে দিই।