মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, এই শিল্প তালুক দুটি দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সীমান্তের অদূরেই ৩৭ একর জমির উপর এই তালুক। এটি গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে। এর সঙ্গে সংযোগকারী একটি রাস্তা তৈরির জন্য সদ্য বরাত দেওয়া হয়েছে রাজ্য পূর্তদপ্তরকে। আগামী একমাসের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জন্য বিনিয়োগ টানতে বিশেষ সহায়ক হবে এই সড়ক। মনে করছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তারা। আবার এশিয়ান হাইওয়ে থেকে মাত্র এক কিমি দূরেই তৈরি হচ্ছে এথেলবাড়ি শিল্পতালুক। প্রায় ৪২ একর জমির উপর গড়ে উঠছে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। দুটি মিলিয়ে অন্তত ৫০টি ইউনিট বা কারখানা তৈরি হবে। ফলে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উত্তরবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনার তালিকায় জয়গাঁও এবং এথেলবাড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে বলেই মত শিল্পমহলের। কিন্তু উত্তরবঙ্গের জন্য এই শিল্পতালুক দুটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এই জেলাতেও পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা যথেষ্ট। তাঁরা দেশের নানান প্রান্তে চলে যান কাঠ ও বেতের আসবাব তৈরি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতি কাজের জন্য। কাজের খোঁজে অনেকে পাড়ি দেন ভুটানেও। স্থানীয় মানুষের কথা মাথায় রেখে, এই দুই শিল্পতালুকের মাধ্যমে মূলত এই শিল্পক্ষেত্রগুলির জন্য লগ্নি টানার চেষ্টা করছে রাজ্য। স্থানীয় বাসিন্দা মানিক কাঞ্জিলাল বলেন, ২০১১ সাল থেকেই উত্তরবঙ্গের জন্য একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য সরকার। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, একেবারে ভুটান সীমান্তেও শিল্পতালুক গড়ার সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। এই দুই কেন্দ্রই চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। এতে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কমবে বলেও মনে করা হচ্ছে।