সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
এই চিঠি পৌঁছনোর পরই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন পুরসভায়। কারণ, এসব এলাকায় বেআইনি বহুতল অসংখ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরসভা ও কাউন্সিলারদের একাংশের মদতেই অনুমোদিত বিল্ডিং প্ল্যানের বাইরে গিয়ে নির্মাণ হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে প্ল্যান বা পুর অনুমোদনের তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না। যেমন, দক্ষিণ দমদমের এক কাউন্সিলার এভাবে রাতারাতি একটি অনুষ্ঠানবাড়ি তুলে ফেলেছেন! এসব নির্মাণের সিসি জোগাড় করতে গেলে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়। বহু প্রোমোটার তা না করে কাউন্সিলার বা প্রভাবশালীদের ‘ম্যানেজ’-এর পথে হাঁটছেন। প্ল্যানের বাইরে যে বাড়তি তল তাঁরা তৈরি করেছেন, সেখানকার ফ্ল্যাটগুলি তাঁরা কিছুটা কম দামে ছেড়ে দিচ্ছেন স্রেফ ১০ বা ২০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে লেখালেখি করে।
বিপাকে পড়ে ফ্ল্যাটের মালিকরা পুরসভায় ছুটে ছুটে সিসি এবং মিউটেশন করাতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ, তখন আর সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের দেখা পাচ্ছেন না তাঁরা। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সারা জীবনের সঞ্চয় ভেঙে ফ্ল্যাট কেনা সাধারণ মানুষকেই। কলকাতা লাগোয়া বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ রামকৃষ্ণ পাল বলেন, ‘সিসি না নেওয়া এবং প্ল্যান ছাড়াই কয়েকতলা বাড়িয়ে নেওয়ার শ’য়ে শ’য়ে উদাহরণ রয়েছে বরানগরেই। এই অসাধু প্রোমোটারদের কালো তালিকাভুক্ত করা জরুরি। তাই মোটা অঙ্কের জরিমানা করার পাশাপাশি থানায় এফআইআর দায়ের করা প্রয়োজন।’